ভারতীয় নৌবাহিনী পরের সপ্তাহেই একটি আধুনিক ডেস্ট্রয়ার এবং একটি সাবমেরিন কমিশন করবে যা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে। এই ডেস্ট্রয়ার ও সাবমেরিন তৈরি হয়েছে ভারতেই। সাবমেরিনটি তৈরি করতে অবশ্য ফরাসি সহযোগিতা পাওয়া গিয়েছে। ভারত মহাসাগরের বদলে যাওয়া আবহে এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি আমেরিকা থেকে তিন বিলিয়ন ডলার মূল্যের ৩০টি সশস্ত্র ড্রোন কিনতে চলেছে ভারত। এমনই জানান নৌবাহিনীর ভাইস চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল এস এন ঘোরমাদে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আগামী ২১ নভেম্বর মুম্বইতে স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার 'বিশাখাপত্তনম' কমিশন করবেন। তারপরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিংয়ের একটি অনুষ্ঠানে ফরাসি ডিজাইন করা কালভারী ক্লাস ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন 'ভেলা'কে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
এই বিষয়ে ভাইস অ্যাডমিরাল এস এন ঘোরমাদে বলেন, 'বিশাখাপত্তনম এবং ভেলার কমিশনিং একটি বড় মাইলফলক। জটিল যুদ্ধের প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য ভারতীয়দের ক্ষমতা প্রদর্শন করে এটা। জলের উপর এবং নিচে, উভয় ক্ষেত্রেই হুমকি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের ক্ষমতা এবং শক্তিকে বাড়িয়ে তুলবে বিশাখাপত্তনম এবং ভেলা।' প্রসঙ্গত, 'বিশাখাপত্তনম' নৌবাহিনীর প্রকল্প-১৫বি-র প্রথম যুদ্ধজাহাজ। এই প্রকল্পের অধীনে ২০২৫ সালের মধ্যে আরও তিনটি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করা হবে। এদিকে 'ভেলা' দেশের ছয়টি কালভারী শ্রেণীর সাবমেরিনের মধ্যে চতুর্থ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ইসলামাবাদকে 'সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে উন্নত' যুদ্ধজাহাজ সরবরাহ করে চিন। চিনা কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা এখন পর্যন্ত যত যুদ্ধজাহাজ রফতানি করেছে তার মধ্যে পিএনএস তুঘরিলের এয়ার ডিফেন্সই সবচেয়ে ভালো। চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং কর্পোরেশন লিমিটেড এই যুদ্ধজাহাজটি ডিজাইন ও নির্মাণ করেছে। সাংহাইতে একটি কমিশনিং অনুষ্ঠানে পাকিস্তান নৌবাহিনীর কাছে যুদ্ধজাহাজটি হস্তান্তর করে চিন। আর পাকিস্তানের হাতি চিনা রণতরী আসার কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতও সমুদ্রে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে নতুন দুই 'যোদ্ধা'কে নামাতে চলেছে।