বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Indian Defence: নয়া এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ান নির্মাণের ভাবনায় নৌসেনা, যুদ্ধবিমান নিয়ে নয়া ভাবনায় বায়ুসেনা

Indian Defence: নয়া এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ান নির্মাণের ভাবনায় নৌসেনা, যুদ্ধবিমান নিয়ে নয়া ভাবনায় বায়ুসেনা

শক্তি বাড়ানোর পথে ভারতীয় নৌসেনা ও বায়ুসেনা। (iStock Editorial) (MINT_PRINT)

নৌসেনা প্রধান জানিয়েছেন দেশের ১০০ বছরের স্বাধীনতা দিবস যখন পালিত হবে সেই ২০৪৭ সালে ভারতীয় নৌসেনা যাতে সম্পূর্ণ স্বনির্ভর হয়,তার উদ্যোগ এখন থেকেই শুরু হয়েছে। তিনি জানান নতুন যুদ্ধজাহাজের ক্ষেত্রে আইএসির মতোই কিছু ভাবা হচ্ছে। তবে ওই আইএসির পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে, কারণ 'আইএনএস বিক্রান্ত'কে সদ্য কমিশন করা হয়েছে।

নতুন এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের নির্মাণের ভাবনা চিন্তা নিয়ে এগোচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এছাড়াএ ভারতের মাটিতে ডেক নির্ভর ফাইটার জেট নির্মাণের পরিকল্পনার কখাও জানিয়েছে ভারতের নৌসেনা। প্রতিরক্ষার শক্তি বাড়াতে এখানেই তারা থেমে নেই মার্কিন মুলুক থেকে তারা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ড্রোন কেনার বিষয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে। নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন,'হল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, বিশ্বাসযোগ্য, সমন্বিত এবং ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রাখা নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি' এই উদ্যোগকে তুলে ধরে।

নৌসেনা প্রধান জানিয়েছেন দেশের ১০০ বছরের স্বাধীনতা দিবস যখন পালিত হবে সেই ২০৪৭ সালে ভারতীয় নৌসেনা যাতে সম্পূর্ণ স্বনির্ভর হয়,তার উদ্যোগ এখন থেকেই শুরু হয়েছে। তিনি জানান নতুন যুদ্ধজাহাজের ক্ষেত্রে আইএসির মতোই কিছু ভাবা হচ্ছে। তবে ওই আইএসির পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে, কারণ 'আইএনএস বিক্রান্ত'কে সদ্য কমিশন করা হয়েছে। সেনা ভাবছে আইএসি-২ এর জায়গায়, আইএসি ১ আরও একটি অর্ডার দেওয়ার ব্যাপারে। গোটা বিষয়টিই আপাতত আলোচনা পর্বে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, ৪৫ হাজার টনের আইএনএস বিক্রান্ত কোচিন শিপইয়ার্ডে তৈরি হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকায়। এর আগে, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, ইউকে, ফ্রান্স, রাশিয়ার এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার তৈরির ক্ষমতা ছিল। এবার সেই তালিকায় বিক্রান্তের হাত ধরে পা রেখেছে ভারত। এছাড়াও নৌসেনা চাইছে ভারতের মাটিতে 'টুইন ইঞ্জিন ডেক বেসড ফাইটার' নির্মাণ করতে। তবে তা নির্মাণ করতে সময় অনেকটাই লাগতে পারে ভেবে তা বিদেশ থেকে আমদানির কথাও নৌসেনা ভাবছে বলে জানা গিয়েছে।

২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি MQ-9B SeaGuardian ড্রোনকে লিজ নিয়েছিল ভারত। যা কঠিন পরিস্থিতিতে নজরদারিতে সাহায্য় করেছে সেনাকে। এই প্রসঙ্গে, ভারত সংলগ্ন জলসীমায় চিনের দাপট ঘিরে প্রশ্ন যায় নৌসেনা কর্তার কাছে। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের স্বার্থে যা বিপরিতধর্মী হবে তার সমস্ত দিকে নজরদারি রাখে নৌসেনা, এখনও সেই কাজেই সেনা ব্রতী।

এদিকে, নৌসেনার পাশাপাশি বায়ুসেনাও নিজের শক্তি ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে। জানা গিয়েছে, এবার বায়ুসেনা Antonov-32 (AN-32) যুদ্ধবিমানকে সরিয়ে C-295কে সেই জায়গায় আনার কথা ভাবছে। বায়ুসেনা আধুনিকতার রাস্তা বেছে নিয়ে এমন সিদ্ধান্তের পথে যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

বন্ধ করুন