রাহুল সিং
আগামী সপ্তাহেই বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ থেকে মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ রয়েছে। তার আগে সদ্য ভারত মহাসাগরের সীমানায় টহল দিচ্ছে চিনা নজরদারিমূলক জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৬। সেই জাহাজেই এবার নজর রাখতে শুরু করে দিল ভারতীয় নৌসেনা। চলছে চিনা জাহাজের গতিবিধির ট্র্যাকিং অভিযান।
এর আগে, অগস্ট মাসে শ্রীলঙ্কার হামবানতোতা বন্দরে নোঙর গেড়েছিল চিনের আরও এক নজরদারিমূলক জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫। সেই নোঙর করার প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত। দিল্লির কাছে এই চিনা গতিবিধি বেশ উদ্বেগজনক ঠেকেছিল। নিজের জলসীমার কাছে বিদেশী নজরদারি জাহাজের আনাগোনা ঘিরে বেশ কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল দিল্লি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অফিশিয়ালের বক্তব্য, 'আমরা চিনা নজরদারি জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৬ এর কথা জানি যা ভারতীয় মহাসাগর এলাকায় রয়েছে।এটি ব্যালাস্টিক ও স্যাটেলাইট ট্র্যাক করে।' তিনি বলছেন, ভারতীয় নৌসেনাও ‘নিজের বিভিন্ন সম্পদ’ কাজে লাগিয়ে এমন নদরজারি জাহাজের উপর নজর রাখছে। এদিকে, আাগামী সপ্তাহেই ওড়িশা উপকূলের কাছে আবদুল কালাম আইল্যান্ড থেকে মিসাইল টেস্ট করার কথা রয়েছে ভারতের। ঠিক এমনই সময়ে চিনা নজরদারি জাহাজের এভাবে অগ্রসর হওয়ার ঘটনা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে নজরদারি দিল্লি। এদিকে, ভারত বঙ্গোপসাগরের ওপরে ‘নো ফ্লাই জোন’ এর একটি নোটিফিকেশন দিয়ে রেখেছে। যা কার্যত বার্তা দিয়ে দিচ্ছে আসন্ন মিসাইল পরীক্ষা নিয়ে।
'মিস্টার প্রেসিডেন্ট! ৪৩ বছর আগে ইরান স্বাধীন হয়েছে', বাইডেনকে হুঙ্কার রাইসির
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের বক্তব্য অনুযায়ী, চিন বিভিন্ন সময়ে নিজের নজরদারি মূলক জাহাজকে জলসীমায় ভাসিয়ে দিয়ে ভিন দেশের মিসাইল উৎক্ষেপণ সংক্রান্ত তথ্য আমদানি করে থাকে। ন্যাশনাল মেরিটাইম ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর জেনারেল ভাইস অ্যাডমিরাল প্রদীপ চৌহান (অবসরপ্রাপ্ত) বলেছেন, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনা জাহাজের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে তাদের লক্ষ্যই রয়েছে আগামী সপ্তাহে ভারতের আসন্ন মিসাইল উৎক্ষেপণের সন্ধান করা। এদিকে, কোমর বেঁধে নামছে ভারতীয় সেনাও। তারাও বহু দিন ধরে এই জলসীমায় নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।