ছিল ১০ ঘণ্টার বিমানযাত্রা। আর তার মাঝেই এক ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক ঘটে যায়। একবার নয়, পর পর ২বার। আর তখনই কার্যত দেবদূতের ভূমিকায় দেখা যায় চিকিৎসক বিশ্বরাজ বেমলাকে। ৪৩ বছর বয়সী বেমলা বার্মিংহামের হাসপাতালের চিকিৎসক। রোগীর প্রাণ বাঁচানো সংক্রান্ত এই ঘটনার কথা সেই হাসপাতালের টুইটারেই সামনে আসে।
এই ঘটনা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ঘটে গিয়েছে। ব্রিটেন থেকে ভারতে আসছিল বিমান। বিমানের সফর ছিল ১০ ঘণ্টার। আচমকা কেবিন ক্রিউ কোনও চিকিৎসকের খোঁজ করেন। তাঁরা ঘোষণা করেন বিমান সফরে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে প্রয়োজন চিকিৎসকের। ততক্ষণে বিমানে চলতে গিয়ে ওই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকের জেরে লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। জানা যায়, কোনও এক যাত্রীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। ছুটে যান ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বরাজ বেমলা। জানতে পারেন এর আগে ওই ব্যক্তির কখনওই হার্ট অ্যাটাক হয়নি। চিকিৎসক বেমলা শুরু করে দেন চিকিৎসা। এক ঘণ্টার চেষ্টায় কোনও মতে ওই রোগীর পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে আনেন তিনি। চিকিৎসক বেমলা এরপর বিমানের ক্রিউদের থেকে চিকিৎসার সরঞ্জাম কিছু আছে কি না খোঁজ নেন। দেখা যায়, মেডিক্যাল কিট ছাড়াও তাঁদের কাছে লাইফ সাপোর্টের কিছু মেডিক্যাল সামগ্রী রয়েছে।
এরপর মুম্বই বিমানবন্দরে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং হয় বিমানের। সেখান থেকে বিমানে যায় হার্ট রেট মনিটর করার যন্ত্র, ব্লাড প্রেশারের মেশিন, পাল্স অক্সিমিটার ও গ্লুকোজ মনিটর করার যন্ত্র। এরপর চিকিৎসক ওই রোগীকে সারিয়ে তুলতে সচেষ্ট হন। ততক্ষণে রোগীর অবস্থা বেশ গুরুতর হয়। টানা ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় শেষমেশ ওই রোগীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এই ৫ ঘণ্টা সময়ে ওই ব্যক্তির পালস রেট যেমন সঠিক ছিল না, তেমনই ব্লাড প্রেশারও ব্যাপকভাবে ওঠা নামা করে। তবে যাবতীয় পরিস্থিতির শেষে বিশ্বরাজ বেমলে পরিস্থিতিকে জয় করে নেন। বাঁচিয়ে তোলেন রোগীকে।