‘উদ্ভিদ-জাত দুধ আসলে দুধ নয়,’ এই মর্মেই সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনী প্রচার করে ডেয়ারি সংস্থা আমুল। আর তারপরেই আমুলের এই বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার(ASCI) কাছে পিটিশন জমা দেয় তিন পশুপ্রেমী সংস্থা। তবে বিজ্ঞাপনটির বিরুদ্ধে করা অভিযোগ খারিজ করেছে ASCI। অভিযোগ করেছিল PETA, বিউটি উইদআউট ক্রুয়েলটি এবং Sharan India ।
বিশ্বজুড়ে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভিগানিজম। অর্থাত্ পশুজাত এমন কোনও জিনিস খাওয়া, পরিধান বা অন্য কোনওভাবে ব্যবহার করেন না ভিগানরা। ঠিক সেই ভাবেই গরুর দুধ পানের অভ্যাসেরও বিরোধী ভিগানিজম। সেখানে এর বদলে আমন্ড মিল্ক-এর মতো উদ্ভিদজাত দুধ পানের কথা বলা হয়। মাখন বা ঘি-এর ক্ষেত্রেও পিনাট বাটার বা বনস্পতি ব্যবহার করেন ভিগানরা।

এর পেছনে যুক্তি হল, ডেয়ারি শিল্পে বহুক্ষেত্রেই গরুর অবহেলা করা হয়। গণহারে প্রজনন, খামারে ঠাসাঠাসি করে অনেক সংখ্যায় গরু রাখা, নোংরা পরিবেশে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা, প্রসবের পরেই বাছুরকে স্থানান্তরিত করা, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি ইত্যাদি বহুক্ষেত্রেই করা হয়ে থাকে বলে অভিযোগ। এরই বিরোধিতায় দুধের বিকল্পের পরামর্শ দেয় ভিগানিজম।
মার্চ মাসের একটি বিজ্ঞাপনে আমুল এই উদ্ভিদজাত দুধের বিরোধিতা করে। সেখানে বলা হয় যে ডেয়ারি শিল্প গরুর জন্য উপকারি। আর উদ্ভিদজাত দুধ আসলে দুধই নয়। তাতে সেভাবে পুষ্টিগুণ নেই।
এরই বিরোধিতায় সরব হন ভিগানরা। শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়েই ভিগান কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়ে এই খবর। তারপরেই দাখিল করা হয় পিটিশন। যদিও শেষমেশ এই পিটিশন খারিজ করা হল।