ভারতের এক গর্ভবতী পর্যচক সম্প্রতি পর্তুগালে প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় এবার পদত্যাগ করলেন সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্তা টেমিডো। গত মঙ্গলবারই তিনি নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, আচমকা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন ভারতীয় এক পর্যটক। তিনি গর্ভবতী ছিলেন। তবে লিসবনের যে হাসপাতালে তিনি গিয়েছিলেন, তাতে শয্যা ছিল না। এই পরিস্থিতে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সেই তরুণীর।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর জার্নাল ডি নোটিসিয়াস রিপোর্ট করে যে লিসবনের সেই হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা বন্ধ ছিল। তাছাড়া হাসপাতালে যথাযথ সংখ্যক ডাক্তার নিযুক্ত ছিলেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন পর্তুগালের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এরপরেই টেমিডো পদত্যাগ করেন। পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কোস্তা টুইটারে পোস্ট করে টেমিডো ‘ধন্যবাদ’ বলেন।
জানা গিয়েছে, মৃত ভারতীয় পর্যটক ৩১ সপ্তাহ গর্ভবতী ছিলেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় তাঁকে পর্তুগালের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল সান্তা মারিয়াতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পরে, হাসপাতালটি তাকে সাও ফ্রান্সিসকো জেভিয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। সান্তা মারিয়াতে মাতৃকালীন ওয়ার্ড ভরতি থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানান্তর হওয়ার পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই মহিলা। এই আবহে মহিলার মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে। অপরদিকে মা মারা গেলেও জীবীত আছে সন্তান। সি সেকশন অস্ত্রপচার করে মায়ের গর্ভ থেকে শিশুটিকে বের করা হয়।