ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও মজবুত করতে উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশ। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কের ‘বীজ বপন’ করা হয়েছে বলেই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তুলনা টেনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। তিনি বলেন, ' মার্কিন সংবাদমাধ্যমের চেয়ে 'অনেক ভাল আচরণ করে' ভারতীয় সংবাদমাধ্যম'।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন করেন।
বৈঠকের পর বাইডেন বলেন, 'আমি মনে করি তাঁরা যা করতে যাচ্ছেন, তা হল সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে আসা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মার্কিন সংবাদপত্রের চেয়ে অনেক ভাল আচরণ করে।' তাছাড়া আমি মনে করি, আপনার অনুমতি নিয়ে আমাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত নয়।'এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে, 'তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।'
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন যে, ‘দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ তাছাড়া তিনি এ-ও উল্লেখ করেন যে, 'ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও শক্তিশালী বন্ধুত্বের বীজ বপন করা হয়েছে।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য তাঁর রূপরেখা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছেন।' তিনি আরও বলেন যে, 'এই দশকে 'প্রতিভা' মানুষে মানুষে সংযোগের মাধ্যমে গড়ে উঠবে।'
এরপর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী সুগার সঙ্গে কোয়াডের প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তিনটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
এর মধ্যে দু'টি বৈঠক মার্কিন রাষ্ট্রপতি বাইডেনই আয়োজন করেছিলেন। চলতি বছরের মার্চে কোয়াড ভার্চুয়াল সামিট ও এপ্রিলে জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।