কলকাতা লন্ডন হল কিনা, তা নিয়ে দ্বিধা আছে। কিন্তু হাওড়াকে একটু একটু টোকিও ভাবতেই পারেন। না, হেঁয়ালি করছি না। জাপানের মতোই বুলেট ট্রেন ছুটবে হাওড়া থেকে। তাই অন্যান্য দিক দিয়ে না হলেও, দ্রুতগামী ট্রেনের নিরিখে এটুকু তুলনা করা যেতেই পারে।
জাতীয় রেল পরিকল্পনায় ভারতীয় রেলওয়ে চারটি নতুন বুলেট ট্রেন করিডোর যুক্ত করার কথা ভাবছে। এর মাধ্যমে নয়টি শহরকে উচ্চ-গতির রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।প্রস্তাবিত লাইনগুলির মধ্যে রয়েছে হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরুর মধ্যে ৬১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর, নাগপুর ও বারাণসীর মধ্যে একটি ৮৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘপথ, পাটনা ও গুয়াহাটির মধ্যে একটি ৮৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন। অন্যদিকে অমৃতসর, পাঠানকোট এবং জম্মুকে ১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর দ্বারা যুক্ত করা হবে। বারাণসী এবং হাওড়ার মধ্যে একটি ৭৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর করা হবে। তবে এই রুট পাটনা নাকি গয়া-ধানবাদ হয়ে যাবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে বুলেট ট্রেনের জন্য একটি নতুন ট্র্যাক তৈরি করা হবে।
বারাণসী-হাওড়া হাই স্পিড রেল করিডর হল একটি পরিকল্পিত উচ্চ-গতির রেল লাইন যা বারাণসীকে হাওড়ার সঙ্গে সংযুক্ত করবে। সম্পন্ন হলে এটি দিল্লি-কলকাতা হাই-স্পিড রেল করিডরের একটি অংশ হবে।
প্রকল্পটি পূর্ব ভারতের তিনটি বড় শহর- বারাণসী, পাটনা এবং কলকাতাকে সংযুক্ত করবে। রুটটির দৈর্ঘ ৭৬০ কিলোমিটার। তবে স্টেশনের সংখ্যা এবং প্রকল্পের ব্যয় এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। এই করিডোরের প্রস্তাবিত স্টেশনগুলি হল বারাণসী, বক্সার, আরা, পাটনা, গয়া, ধানবাদ, আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান এবং হাওড়া।
তবে এই ধরনের ট্র্যাকে ট্রেনের গতিবেগ অনেকটাই বেশি হবে। ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো নিশ্চিত করতে হবে রেলকে। বিশেষত লেভেল ক্রসিংয়ের দিকে নজর দিতে হবে। এর পাশাপাশি রেললাইনের উপর দিয়ে যাতে মানুষ, গবাদি পশু পারাপার না করে সেদিকেও কড়াকড়ি করতে হবে। প্রয়োজনে এমন স্থানে উঁচু পাঁচিলের ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমানে ভারতের প্রথম উচ্চ-গতির রেল করিডর মুম্বই থেকে আমদাবাদের মধ্যে। এটি ৫০৮ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। বর্তমানে এটির নির্মাণকাজ চলছে। আগামী ২০২৬-২৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।