করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে জেরবার দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহের লকডাউন জারি হয়েছে রাজধানীতে। তবে এরই মাঝে ভারতীয় রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, কার্ফু জারি থাকলেও কোনও ট্রেন এখনই বাতিল করা হচ্ছে না। পাশাপাশি চলতি সপ্তাহে বিহারগামী চারটি বিশেষ ট্রেনের ঘোষণাও করা হয় উত্তর ভারত রেলওয়েল তরফে।
এদিকে গতবছরের স্মৃতি উস্কে দিয়ে সোমবার দিল্লির বাস স্টেশনে ভিড় জমিয়েছেন হাজারে হাজারে পরিযায়ী শ্রমিক। সোমবার রাত ১০টা থেকে আগামী সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত দিল্লিতে লকডাউন ঘোষণার পরপরই দিল্লি ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের।
এই পরিস্থিতি রেল মন্ত্রকের মুখপাত্র ডিজে নারায়ণ বলেন, 'সোমবার সন্ধ্যা থেকে জল্পনা বেড়েছিল যে স্টেশনে স্টেশনে অনেক ভিড় হবে। তবে আমি সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে গুজবে কান না দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এখনও সেরম হয়ে যায়নি। মানুষ ভাবছেন ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তবে এটা সত্যি নয়। মানুষ এটা জানতে পারলেই এই হুড়োহুড়ি বন্ধ হবে। অনেকে তা জানেও। তাই আজ তারা তাদের গন্তব্যে না যেতে পারলেও পরের দিন যেতে পারবে। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।'
বর্তমানে কোভিড পূর্ববর্তী পরিস্থিতির তুলনায় ৭০ শতাংশ ট্রেন চলছে। ৩০ এপ্লিল পর্যন্ত রেলের তরফে ৮৮টি গ্রীষ্মকালীন বিশেষ ট্রেন এবং ৪৫টি উত্সব স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। গোরক্ষপুর, পাটনা, দরভাঙ্গা, বারাণসী, গুয়াহাটি, বড়ৌনি, প্রয়াগরাজ, বোকারো, রাঁচি এবং লখনউয়ে পৌঁছনোর ট্রেনের চাহিদা সবথেকে বেশি বলেও জানানো হয়েছে রেলের তরফে।
করোনা মোকাবিলায় মহারাষ্ট্র সরকার একাধিক কঠোর নির্দেশাবলী ঘোষণা করতেই ফের একবার ঘরে ফেরার তাড়া শুরু হয় মুম্বইয়ে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকদের। পরিস্থিতি দেখে চিন্তা বেড়েছে রেল কর্তৃপক্ষের ৷ কেন্দ্রীয় রেলের তরফে যাত্রীদের কাছে আবেদন করা হয়েছে, তাঁরা যেন অযথা আতঙ্কিত না হন। এভাবে স্টেশন চত্বরে যাত্রীরা যেন ভিড় না বাড়ান। কারণ, তাতে করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে।
রেলের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র কনফার্মড টিকিট থাকা যাত্রীরাই স্পেশাল ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে রওনা দিতে পারবেন। ট্রেন ছাড়ার দেড় ঘণ্টা আগে তাঁরা প্ল্য়াটফর্মে ঢুকতে পারবেন। এদিকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে প্ল্যাটফর্ম টিকির বিক্রির উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রেল।