নতুন নিয়োগ কেন্দ্র করে রেলের প্রযুক্তি ও প্রশাসনিক বিভাগের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। সমাধানের জন্য রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ অনুরোধ করে চিঠি পাঠাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
গত সপ্তাহে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি লিখে রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষেবা বিভাগের আধিকারিকরা জানান, শুধুমাত্র রেলের প্রযুক্তি প্রেক্ষাপট থেকে আসা কর্মীদেরই রেল চলাচলের বিষয়ে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া উচিত। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় নিম্ন র্যাঙ্ক প্রাপ্ত একাধিক চেষ্টায় বেশি বয়সে IRMS বিভাগে বহাল হওয়া কর্মীদের ভিন্ন পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ করা উচিত।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘ভারতীয় রেলওয়ে একটি প্রযুক্তিনির্ভর সংস্থা এবং সরকারের আধুনিকীকরণের উদ্দেশে সেখানে প্রযুক্তির ভূমিকা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়াই স্বাভাবিক। রেল পরিষেবার বৈশিষ্ট অনুযায়ী জটিলতর ব্যবস্থার তদারকির জন্য উচ্চ স্তরের প্রযুক্তি জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। বিকল্প ব্যবস্থায় IRMS-এর জন্য পৃথক পরীক্ষা আয়োজন করতে পারে UPSC, যেখানে প্রার্থীদের লিখে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। এর ফলে সেই সমস্ত প্রার্থীরাই সুযোগ পাবেন, যাঁদের IRMS সম্পর্কে আগ্রহ রয়েছে। এর জেরে নিম্ন র্যাঙ্ক পাওয়া একাধিক চেষ্টায় বেশি বয়সে বহাল হওয়া অফিসারের বদলে ইচ্ছুক অফিসারদের পাওয়া যাবে।’
রেলের কর্মীদের মধ্যে যাঁদের প্রযুক্তিগত পড়াশোনা ও অভিজ্ঞতা নেই, চিঠিতে তাঁদের উদ্দেশে স্পষ্ট খোঁচা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ভালো নজরে অবশ্যই দেখেনি ভারতীয় রেলের সিভিল সার্ভিস ক্যাডার নিয়োগকারী বিভাগ ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ ট্র্যাফিক সার্ভিসেস (IRTS)। বিভাগের তরফে টুইটারে পোস্ট করা হয়েছে, ‘সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস-এর চিঠিতে অসৌজন্যমূলক মন্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার মাধ্যমে সেরা ও উজ্জ্বলতম মেধাবীদের অফিসার পদে নিয়োগ করা হয়। আধিকারিকরা ২-৩ বছরের অভিজ্ঞতা বিসর্জন দিয়েও রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস ছেড়ে IRTS-এ যোগ দেন।’
উল্লেখ্য, সেরা পারফরম্যান্স-এর বিচারে পদোন্নতি প্রক্রিয়া চালু হওয়ার আগে রেলের একাধিক বিভাগে সমান প্রোমোশন দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক। এ ছাড়া রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস (IRMS)-এ নিয়োগের ব্যাপারে রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (RDSO)।