নিরাপত্তার প্রয়োজনে এবার দেশজুড়ে নিজস্ব নেটওয়ার্কে ড্রোন ভিত্তিক ‘নিনজা ইউএভি’ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল।
নিনজা ইউএভি আদতে নজরদারির জন্য হালকা ওজনের স্বয়ংক্রিয় ছোট উড়ন্ত ডিভাইস, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবহার করা হয়। এই যন্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের খরচও কম।
রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ড্রোন নজরদারি প্রযুক্তি খরচ ও লোকবল সাশ্রয়কারী সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে আমরা প্রথম দফায় মধ্য রেল বিভাগের মুম্বই ডিভিশনে তা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই বিভাগে আপাতত দুটি নিনজা ইউএভি নেওয়া হয়েছে। রেল স্টেশন চত্বর, রেল ইয়ার্ড, রেলের ওয়ার্কশপ ইত্যাদি জায়গায় পাহারার কাজে ওই যন্ত্র নিয়োগ করা হয়েছে। মুম্বই আরপিএফ-এর ৪ কর্মীর একটি দল যন্ত্র দুটি নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে বহাল করা হয়েছে। দলের প্রত্যেক সদস্যকে এর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’
জানা গিয়েছে, একটি ড্রোন ক্যামেরা বিরাট এলাকাজুড়ে নজরদারি চালাতে সক্ষম, যে কাজে কমপক্ষে ৮-১০ জন আরপিএফ কর্মীর প্রয়োজন হয়। পরীক্ষামূলক নজরদারি প্রক্রিয়ায় মুম্বইয়ের ওয়াদিবন্দর রেল ইয়ার্ডে ড্রোনের নজরে ধরা পড়ে এক অপরাধী, জানিয়েছেন মধ্যরেল কর্তারা।
রেলের এলাকায় নজরদারির জন্য ড্রোনের বিস্তারিত ব্যবহারের পরিকল্পনা কতরেছে রেলওয়ে প্রটোকশন ফোর্স। বর্তমানে দক্ষিণ পূর্ব রেল, মধ্য রেল, মডার্ন কোচিং ফ্যাক্টরি, রায়বরেলি ও দক্ষিণ পশ্চিম রেলের জন্য ৯টি ড্রোন সংগ্রহ করেছে আরপিএফ, যার খরচ পড়েছে ৩১.৮৭ লাখ টাকা। এর পর আরও ১৭টি ড্রোন জোগাড়ের পরিকল্পনা রয়েছে বাহিনীর।
তবে শুধু নজরদারিই নয়, বিভিন্ন দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজেও ড্রোন ব্যবহারে সুফল মেলে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা। এ ছাড়া, বিশাল জনসমাগম যুক্ত কোনও ঘটনায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও ড্রোন অব্যর্থ।