আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা! তারপরই তাদের নতুন 'সুপার' মোবাইল অ্যাপ চালু করে দেবে ভারতীয় রেল। রেল সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে এই একটিমাত্র মোবাইলের অ্যাপেই পাওয়া যাবে ট্রেন সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যার সমাধান বা প্রশ্নের উত্তর।
এই নয়া মোবাইল অ্যাপ থেকে আপনি কী কী সুবিধা পেতে পারেন? জেনে নিন তার বিস্তারিত তথ্য:
(১) এই একটিমাত্র মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ইউজাররা ট্রেনের টিকিট এবং প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটতে পারবেন। জানা যাবে ট্রেন চলাচলের সমসয়সূচি।
(২) এই মোবাইল অ্যাপটি তৈরি করছে 'সেন্টার ফর রেলওয়েজ ইনফরমেশন সিস্টেম' বা ক্রিস। যারা রেলের তথ্যাবলী সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাগুলি ডিজাইন করেছে এবং সেই সংক্রান্ত প্রযুক্তি নির্মাণ করে তা কার্যকর করেছে ও তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও সামলাচ্ছে।
(৩) বর্তমানে সংশ্লিষ্ট পরিষেবাগুলি চালু রাখার জন্য আইআরসিটসি-র যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে, তার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেই নয়া মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি কাজ করবে। প্রসঙ্গত, আইআরসিটিসি রেলের ক্য়াটারিং এবং পর্যটন সংক্রান্ত পরিষেবাগুলির দেখভাল করে।
(৪) এই প্রসঙ্গে রেলের এক আধিকারিক জানান, 'ক্রিস ও যাত্রীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী হিসাবে আইআরসিটিসি তার কাজ করে যাবে। পরিকল্পিত মোবাইল অ্য়াপের সঙ্গে আইআরসিটিসি-কে সংযুক্ত করার কাজ চলছে।'
(৫) বর্তমানে রেলের বিভিন্ন পরিষেবা যেসমস্ত অ্য়াপ্লিকেশন ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রদান করা হয়, সেগুলি হল - আইআরসিটিসি রেল কানেক্ট (টিকিট বুক করার জন্য), আইআরসিটিসি ইক্যাটারিং ফুড অন ট্র্যাক (ট্রেনে খাবার সরবরাহ করার জন্য), রেল মদদ (যাত্রীদের মতামত জানানোর জন্য), আনরিজার্ভড টিকেটিং সিস্টেম (অসংরক্ষিত কামরার টিকিট কাটার জন্য) এবং ন্যাশনাল ট্রেন এনকোয়ারি সিস্টেম (ট্রেনের অবস্থান জানার জন্য)।
(৬) রেলের টিকিট কাটার বিশেষ অধিকার রক্ষিত রয়েছে আইআরসিটিসি রেল কানেক্ট-এর কাছে। যার ফলে এই অ্যাপ্লিকেশনটিই মানুষ সবথেকে বেশি ব্যবহার করে। এই অ্যাপ্লিকেশনে ১০০ কোটিরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে!
(৭) একজন আধিকারিক নয়া মোবাইল অ্যাপ প্রসঙ্গে বলেন, 'আইআরসিটিসি আশা করছে, নয়া সুপার অ্যাপের মাধ্যমে উপার্জনের আরও একটি রাস্তা খুলে যাবে।'
(৮) থার্ড-পার্টির মাধ্যমে যেসমস্ত বুকিং করা হয়, সেগুলিও আইআরসিটি-র উপরেই নির্ভরশীল। এই পরিষেবার মাধ্যমেই তারা সংরক্ষিত আসনের জন্য টিকিট কাটে।
(৯) ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে আইআরসিটিসি মোট ১,১১১.২৬ কোটি টাকা মুনাফা করেছে এবং রাজস্ব আদায় করেছে ৪,২৭০.১৮ কোটি টাকা।
(১০) এই সময়সীমার মধ্যে রেলে বুকিং হয়েছে ৪৫.৩০ কোটিরও বেশি। রেলের সামগ্রিক রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে টিকিট বুকিংয়ের অবদান ছিল ৩০.৩৩ শতাংশ।