হাইস্পিড ট্রেন পরিষেবা দেওয়ার পথে বেশ কিছু রদবদল আনতে চলেছে ভারতীয় রেল। তার জেরে বাদ দেওয়া হচ্ছে স্লিপার কোচ। পরিবর্তে থাকছে বিশেষ বাতানুকূল কামরা।
রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে চলা ট্রেনে স্লিপার কোচ না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ঘণ্টায় ১১০ কিমি গতিতে চলা সাধারণ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে এই কামরা থাকছে।
রেল মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রযুক্তিগত কারণেই ঘণ্টায় ১৩০ কিমির বেশি গতিতে চলা ট্রেনে বাতানুকূল কামরা রাখা জরুরি। হাই স্পিড ট্রেন চালানোর উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য কাজ শুরু করেছে ভারতীয় রেল। স্বর্ণ চতুর্ভূজ ও কৌণিক প্রকল্পে রেল লাইনের মানোন্নয়ন করে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৬০ কিমি গতিতে চলা ট্রেনের জন্য উপযোগী করা হচ্ছে। শুধুমাত্র এই সমস্ত ট্রেনেই নন-এসি কোচের পরিবর্তে বিশেষ বাতানুকূল কামরা ব্যবহার করা হবে। বাতাস ও আবহাওয়াজনিত কারণেই তাকরা জরুরি।
তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ঘণ্টায় ১৩০ কিমির বেশি গতিতে ট্রেন চালানোর মতো উপযোগী করে তোলা হয়েছে বেশ কিছু করিডর।
রেল কর্তারা জানিয়েছেন, নতুন বাতানুকূল কামরায় আসনভাড়া সাধারণের পকেটদুরস্তই হবে। ভাড়া হবে হামসফর ট্রেনের পরিকাঠামো অনুসরণ করে।
ইতিমধ্যে কাপুরথালায় রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে বিশেষ এই কামরার প্রতিরূপ তৈরি করা হচ্ছে, যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ৭২ বার্থের স্লিপার কোচের তুলনায় নতুন বাতানুকূল কামরায় থাকছে ৮৩টি বার্থ। তবে ক্যুপের ভিতরে বার্থের সংখ্যা স্লিপার কোচের মতোই থাকছে। বিশেষ কামরায় থাকছে না সাইড আপার ও সাইড লোয়ার বার্থের মধ্যে মিডল বার্থ। কামরা থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সংযোগের সরঞ্জাম এবং যাত্রীদের কম্বল, চাদর ও বালিশ রাখার জন্য নির্দিষ্ট কাবার্ড। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে যাত্রীদের বিছানার সামগ্রী সরবরাহ বন্ধ রেখেছে রেল।
আগামী বছরের মধ্যে এমন কমপক্ষে ২০০টি কামরা তৈরি করবে রেল। কামরাগুলি ব্যবহারের আগে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও মূল্যায়ণ করা হবে বলেও জানিয়েছে রেল মন্ত্রক।