সর্বকালীন সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে গেল ভারতীয় মুদ্রা। আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজার্ভ সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পরই ধস দেখা গিয়েছিল ভারতীয় মুদ্রায়। গতকালকের পর আজও সেই পতন অব্যাহত থাকে। এর জেরে এক ডলারের দাম গিয়ে ঠেকে ৮১.১৮ টাকায়। এই আবহে ভারতে ঋণের উপর সুদের বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এদিকে সুদের হার বৃদ্ধির জেরে আমেরিকায় মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ফেডারেল রিজার্ভ। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুদের হার বৃদ্ধি জরুরি ছিল বলে মত মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের। সাম্প্রতিককালে এই নিয়ে তৃতীয়বার ফেডারেল রেট বৃদ্ধি করা হল আমেরিকায়। এমনকি ভবিষ্যতে সুদের হার আরও বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছে তারা। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বক্তব্য, মূল্যস্ফীতির জেরে আমেরিকার ভাণ্ডারে টান পড়ছে। এই রিস্থিতিতে সুদের হার বৃদ্ধি ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই।
এদিকে ফেডারেল রেট বৃদ্ধির পরই লগ্নিকারীদের আস্থা নড়বড়ে হয়েছে ভারতীয় শেয়ার বাজারের উপর। গতকালই ২০০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ভারতীয় শেয়ার বিক্রি করেছে বিদেশিরা। এদিকে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সব মিলিয়ে ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় মুদ্রার গ্রাফ। জানা গিয়েছে, ফেডারেল রেট বৃদ্ধির জেরে গত ২০ বছরে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে ডলারের দাম। তবে আশঙ্কার করা হচ্ছে, ডলারের দাম বৃদ্ধির তেল আমদানি ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে ভারতে। কারণ সেই ক্ষেত্রে তেল আমদানি করতে ভারতের খরচ বাড়বে।