ভারতীয় সমাজ গত চার দশকে কতটা বদলে গিয়েছে। এখন প্রায়ই দেখা যাচ্ছে যৌন অপরাধ সংক্রান্ত মিথ্য়ে অভিযোগ প্রায়ই দায়ের করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ আদালতের। ২০১৯ সালে বারানসীতে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে জামিন দেওয়ার সময় একথা জানিয়েছে আদালত।
বিচারপতি কৃষান পাহাল চার দশক আগে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে উল্লেখ করে জানান, বর্তমান ভারতে কোনও নারীর পক্ষে কাউকে মিথ্য়া যৌন মামলায় অভিযুক্ত করাটা সম্ভব হয় না। কারণ সমাজে মর্যাদাহানি হতে পারে। তবে এলাাহাবাদ আদালতের দাবি সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের চারদশক পরে অনেকটাই বদলে গিয়েছে ভারতের সমাজ।
এলাহাবাদ আদালত জানিয়েছে. সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ দেওয়ার পরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ৪০ বছরে ভারতীয় সমাজ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে যৌন নির্যাতনে মিথ্য়া অভিযোগ ক্রমশ বাড়ছে।
এদিকে মিরাটে ২০১৯ সালে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করা হয়েছিল। হাসপাতালে কোনও মহিলার সঙ্গে কোনও স্টাফের জোর করে যৌনসংসর্গ করলে যে ধারা প্রয়োগ করা হয় সেই ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাকে। এছাড়াও একাধিক ধারা প্রয়োগ করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।
বারানসী জেলার মধ্যে এই এফআইআর হয়েছিল। এদিকে অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, ওই মহিলার যৌন অঙ্গে কোনও রকম আঘাত নেই। অভিযোগ প্রমাণের মতো কিছু নেই। বলা হয়েছিল যে আশ্রমে ওই মহিলা যুক্ত ছিলেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছিল। সেকারণেই তাকে ফাঁসানো হয়েছে। কারণ ওই আশ্রমের গুরুর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্ত। এদিকে সেই আশ্রমে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়েছিল। আশ্রমের ওই গুরুর অবৈধ কার্যকলাপ জেনে যাওয়ার পরে তিনি তা প্রকাশ করে ফেলেছিলেন। তারপরেই তার বিরুদ্ধে মিথ্য়া অভিযোগ জানানো হয়।
তবে আইনজীবী জানিয়েছেন, অভিযোগকারী প্রায় এক মাস পরে মীরাটের মতো একটি দূরবর্তী এলাকায় এফআইআর করা হয়েছিল। ফাঁসানোর জন্যই এটা করা হয়েছিল। মিথ্য়ে গল্প সাজানো হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তের জামিন মিলেছে আদালতে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup