তোলপাড় ভারতের ইক্যুইটি বাজার। ২০২২ সালটি কালো অক্ষরে লেখা থাকবে বিনিয়োগকারীদের খাতায়। কেন? কারণ গত সাত বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনও বছর জুড়ে পতনের(annual decline) সম্মুখীন বাজার। উচ্চ সুদের হার এবং বৃদ্ধির ক্ষীণ সম্ভাবনা। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই তীক্ষ্ণ পতনের সম্মুখীন সব শেয়ারই। সেখান থেকে দ্রুত প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা বেশ কম। রয়টার্সের একটি জরিপে উঠে আসছে এমনই তথ্য।
রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন
প্রভাব ভারত তথা সারা বিশ্বে। ক্রমবর্ধমান জিনিসপত্রের দাম, সরবরাহের প্রক্রিয়ার দফারফা, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সুদের হার বৃদ্ধি, ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ থেকে প্রচুর পরিমাণে আউটফ্লো। দুটি দেশের যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে কী প্রভাব পড়তে পারে, তা এখন বেশ স্পষ্ট।
ভারতের বেঞ্চমার্ক BSE সেনসেক্স চলতি বছর এ পর্যন্ত প্রায় ৭% পড়েছে। ১৮ জানুয়ারিতে সর্বোচ্চ (61,475.15) ছিল। সেখান থেকে প্রায় 12% কমেছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, শীঘ্রই কোনও প্রত্যাবর্তনের আশা না করাই ভাল।
তবে, বেঞ্চমার্ক BSE সেনসেক্সের অবস্থা তাও MSCI অল-কান্ট্রি ওয়ার্ল্ড ইনডেক্সের তুলনায় ভাল। MSCI চলতি বছরে ১৬%-এরও বেশি পড়েছে।
রয়টার্স একটি সমীক্ষায় ৩০ জন বাজার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়। তাতে উঠে আসে আরও এক দুশ্চিন্তা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০২২ সালে বিশেষ আশা নেই। সোমবার বিএসই সেনসেক্স ক্লোজ হয়েছে 54,288.61-তে। সেখান থেকে বড়জোর ৩.২% বাড়তে(56,000) পারে।

যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে এ বছর বাজারে প্রায় ৪% পতন হবে। ২০১৫ সালের পর থেকে এই প্রথম কোনও বছর এমনটা হতে চলেছে।