২০২৩ সালে মার্কিন পুলিশ অফিসারের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গিয়েছিল এক ভারতীয় ছাত্রীর। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিল কিং কাউন্টির প্রসিকিউটর। সেই ঘটনায় মৃত্যু হওয়া পড়ুয়র নাম ছিল জাহ্নবী কন্দুলা। মৃত্যুকলে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর। এদিকে ঘটনায় অভিযুক্ত অফিসার ছিলেন কেভিন ডেভ। এদিকে সরকার পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি, ডেভের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই। এদিকে প্রসিকিউটরের এই সিদ্ধান্তে ফের একবার ভেঙে পড়েছে জাহ্নবীর পরিবার। (আরও পড়ুন: কৃষক মৃত্যুর আবহে বড় সিদ্ধান্ত, এই ফসলের ন্যায্য পারিশ্রমিক মূল্য বাড়ালেন মোদী)
আরও পড়ুন: 'অঙ্ক' মিলেছে পড়শি দেশে, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কে?
জানা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকার সিয়াটেলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এই মৃত্যু ঘিরে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। ভারতীয় ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে এক মার্কিন পুলিশ আধিকারিককে ঠাট্টা করতে দেখা গিয়েছিল এক ভাইরাল ভিডিয়োতে। জানা গিয়েছে, জাহ্নবী আমেরিকার নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন। রাস্তা পার করতে গিয়েই গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়েছিলেন জাহ্নবী। এর জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। রিপোর্ট অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা জাহ্নবী ২০২১ সালে আমেরিকায় পা রেখেছিলেন পড়াশোনা করার জন্য। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেই তাঁর ডিগ্রি পাওয়ার কথা ছিল। তবে এক বেপরোয়া পুলিশ অফিসারের কারণে তা আর হয়নি।
আরও পড়ুন: জবাবদিহি চেয়েছিলেন ফিরহাদ, এবার তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যার বিরুদ্ধে দায়ের FIR
এদিকে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার কেভিনের দাবি ছিল, 'ইমারজেন্সি কল' পেয়ে তিনি এক জাগায় যাচ্ছিলেন। তাঁর গাড়ির সাইরেনও বাজছিল মাঝে মাঝে। তবে অনবরত তা বাজছিল না বলে তিনি মেনে নেন। তাঁর দাবি, এই দুর্ঘটনার জেরে তিনি অনুতপ্ত। এদিকে গাড়ি চালানোর সময় কেভিন ডেভ নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিয়াটেল পুলিশ। সিয়াটেল পুলিশ অফিসার্স গিল্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল অডেরারকে খতিয়ে দেখতে বলা হয় যে দুর্ঘটনার সময় কেভিন নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না। পরে ড্যানিয়েল সেই ঘটনা নিয়েই গিল্ডের সভাপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং তাঁর বডিক্যামে তা রেকর্ড হয়। সেই ভিডিয়ো হয়েছিল। যা নিয়ে চরম বিতর্ক হয়েছিল।
সেই ভিডিয়োতে ড্যানিয়েলকে বলতে জাহ্নবীর মৃত্যু নিয়ে ঠাট্টা করতে শোনা যায়। গিল্ড সভাপতি মাইক সোলানকে ড্যানিয়েল বলেন, 'তাঁর (মৃত ছাত্রীর) জীবনের দাম এমনিতেই কম ছিল। শুধু একটা চেক লিখে দিলেই হয়ে যাওয়া উচিত। ১১ হাজার ডলারের চেক দিয়ে দেওয়া হোক। এমনিতেই তাঁর বয়স ২৬ বছর (ভুল বয়স বলেন ড্যানিয়েল) ছিল।' এদিকে এই ভিডিয়ো ও কথোপকথন নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই নিজের সাফইয়ে ড্যানিয়েল দাবি করেন, তিনি জাহ্নবীর মৃত্যু নিয়ে ঠাট্টা করতে চাননি। এই ঘটনা নিয়ে শহরের অ্যাটর্নি জেনারেল কেমন আচরণ করতেন এবং কী সব বলতেন, সেটাই নাকি নকল করছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, মৃত ছাত্রীর নয়, বরং শহরের সরকারি আইনজীবীদের নিয়ে ঠাট্টার উদ্দেশে সেই কথাগুলি বলেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, তিনি আগে দেখেছেন যে কীভাবে মৃতের পরিবারের সঙ্গে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আইনজীবীরা দর কষাকষি করেন।