ইউনেস্কোর অংশীদারিত্বে দেওয়া দশ লাখ ডলার (প্রায় ৭.৩৮ কোটি টাকা) মূল্যের গ্লোবাল টিচার প্রাইজ জিতলেন মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের শিক্ষক রণজিৎসিং দিসালে। পুরস্কার অর্থের অর্ধেক তিনি চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছানো বিভিন্ন দেশের বাকি ৯ সহ-প্রতিযোগীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
২০১৪ সালে এই পুরস্কারের সূচনা করে ভারকে ফাউন্ডেশন। সংস্থার তরফে বিজয়ী রণজিৎসিং সম্পর্কে বলা হয়েছে, পরিতেওয়াদি গ্রামের জেলা পরিষদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জীবনে আমূল পরিবর্তন আনতে সফল হয়েছেন।
প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিভাগে বিজেতাদের নাম লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম থেকে এক অনলাইন অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন অভিনেতা-লেখক স্টিফেন ফ্রাই।
ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, পুরস্কার জেতার পরে ভাষণে রণজিৎসিং এক ‘অসাধারণ ঘোষণা’ করে জানান, তিনি পুরস্কার অর্থের অর্ধেকাঁশ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছানো সহ-প্রতিযোগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। এর ফলে চূড়ান্ত পর্বে ওঠা প্রত্যেক প্রতিযোগী পাবেন ৫৫,০০০ ডলার। সংগঠকরা জানিয়েছেন, পুরস্কারের গত ৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও বিজেতা তাঁর পুরস্কার অর্থ সহ-প্রতিযোগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন।।
বিশ্বের ১৪০টির বেশি দেশের ১২,০০০ এর বেশি মনোনয়নের মধ্যে থেকে বিজেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে রণজিৎসিং দিসালেকে। শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান এবং সমাজে শিক্ষকের ভূমিকা পালনের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতি বছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিজেতাদের সৃষ্টিশীলতা এবং অসাধারণত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘যদিও এই কঠিন ও কখনও কখনও হৃদয়বিদারক সময়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি, তবু বলতে বাধা নেই যে বিশ্বজুড়ে অতিমারীর প্রকোপের মাঝেও শিক্ষকদের বিশাল অবদান ও আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি জানাতেই হয়।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয় এক কোভিড বীর শিক্ষককে, যিনি Covid-19 আবহ তুচ্ছ করে নবীনদের শিক্ষাদানে ব্রতী হয়েছেন। ৪৫,০০০ ডলার মূলযের সেই পুরস্কার লাভ করেছেন ব্রিটেনের গণিত শিক্ষক জেমি ফ্রস্ট, যাঁর বিনামূল্যের ‘ডক্টরফ্রস্টম্যাথস’ পদ্ধতির শিক্ষাদানে অতিমারীতে ঘরবন্দি বিশ্বের অসংখ্য পড়ুয়া নতুন আশার আলো দেখেছেন।