শিশির গুপ্ত
পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) গতিবিধি নিয়ে চিনা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে খবর নিচ্ছে ভারতীয় সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলগুলি। কিন্তু ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) সার্ভার ছাড়া বেজিংয়ে এখন কোন ভারতীয় সংবাদপত্র এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
চিনের রাজধানী বেজিংয়ের কূটনৈতিক সূত্রের খবর, আপাতত আইপি টিভির মাধ্যমে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু গত দু'দিন ধরে আইফোন এবং ডেস্কটপে এক্সপ্রেস ভিপিএন কাজ করছে না।
ভিপিএন হল একটি শক্তিশালী মাধ্যম। যা নিষেধাজ্ঞা বা ব্লক অগ্রাহ্য করে কোনও নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যেতে ব্যবহারকারীকে সাহায্য করে। কিন্তু চিন এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ফায়ারওয়াল তৈরি করেছে, যা ভিপিএন-কে পর্যন্ত ব্লক করতে সক্ষম।
এমনিতেই কমিউনিস্ট দেশটি অনলাইন সেন্সরশিপের জন্য সারা বিশ্বেই ‘বিখ্যাত’। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমলে যা কার্যত সরকারের শিল্পে পরিণত হয়েছে। হংকংয়ে বিক্ষোভের সময়েও একইভাবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিকে দমিয়ে রাখত চিন। যেমন - বিবিসি বা সিএনএনে হংকং বিক্ষোভ শব্দ উল্লেখ করলেই বেজিংয়ের টিভি কালো হয়ে যেত এবং সেই বিষয়টি শেষ হওয়ার পর তবেই ফের খবর দেখা যেত। সেই সেন্সরশিপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলিও।
ভারতে অবশ্য চিনা সাইটগুলি খোলা যাচ্ছে। তবে সোমবার রাতে টিকটক-সহ শুধুমাত্র ৫৯ টি চিনা অ্যাপ বন্ধের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত মাসে পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যা শুরুর আগে থেকেই সে বিষয়ে আলোচনা চলছিল। তবে ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার বর্বরতার পর সেই আলোচনা আরও গতি পায়। চিনা অ্যাপগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর আলোচনায় সমর্থন জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লার সুপারিশে স্বাক্ষর করেন তিনি। তারপর প্রোটোকল অনুযায়ী সেই আদেশনামা জারি করে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।