সেই স্বাধীনতার বছরেই আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন দুই ভাই। এরপর কেটে গিয়েছে ৭৪টি বছর। এক ভাই থেকে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে। দেশভাগের যন্ত্রণা নিয়ে অপর ভাই সেই ছোট্টবেলায় কোনওভাবে চলে এসেছিলেন ভারতে। এরপর এক এক করে কেটে গিয়েছে ৭৪টি বসন্ত। দুই ভাইয়ের মধ্যে দেখা হয়নি। অবশেষে ৭৪ বছর পর কর্তারপুর গুরুদোয়ারাতে দেখা হল দুই ভাইয়ের। আবেগে ভাসলেন দুজনেই।
সিকা খান ও মহম্মদ সিদ্দিকির মধ্যে দেখা হয়নি সাত দশক ধরে। তবে ২০১৯ সালে ভিডিও কলের মাধ্যমে তাঁদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হয়েছিল। পাকিস্তানের একটি ইউটিউব চ্যানেল তাদের এই বিচ্ছেদের গল্পটি সম্প্রচার করেছিল। এরপর সেই হাত ছেড়ে চলে যাওয়া দুই ভাইয়ের মধ্যে ফের দেখা করিয়ে দিল ওই ইউটিউব চ্যানেল। একটি স্পেশাল ক্রশ বর্ডার ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারতীয়রা ওই শিখ ধর্মস্তানে ভিসা ছাড়াই আসতে পারেন। আর সেখানেই মিলিত হলেন দুই ভাই।
এতবছর পরে দেখা হল দুভাইয়ের। জড়িয়ে ধরলেন একে অপরকে। চোখের জল যেন বাঁধ মানে না। আবেগে ভাসলেন দুদেশের মানুষ। এদিকে শুক্রবারই পাকিস্তান হাই কমিশন সিকা খানকে ভিসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে যাতে তিনি পাকিস্তানে গিয়ে ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
হাই কমিশনের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, ২০১৯সালের নভেম্বরে কর্তাপুর সাহিব করিডরের সূচনা হয়েছিল। এই দুই ভাইয়ের ছবিই প্রতিফলিত করে কীভাবে এই ভিসা ছাড়াই কর্তাপুর করিডর দুদেশের মানুষকে কাছাকাছি আনছে। এদিকে সেই জন্মস্থান, ছোটবেলার বন্ধুদের দেখার জন্য যাদের মন আকুল হয়, কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় সীমান্ত, তাঁদের জন্যই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পঞ্জাবি লেহর নামে ওই চ্যানেল।