ফেসবুকে এক পাকিস্তানি কন্য়ার সঙ্গে পরিচয়। এরপর সেই সম্পর্ক ক্রমে এগোতে থাকে। এরপর সেই সম্পর্কের টানে পাকিস্তানে পাড়ি দেন এক ভারতীয় যুবক। গল্পের মতো শোনালেও এটা একেবারে বাস্তব। উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলার বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সি ওই যুবকের নাম বাদল বাবু। তিনি সকলের অলক্ষ্যে কার্যত বেআইনিভাবে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেখানে গিয়ে ধরাও পড়েন তিনি। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে মান্ডি বাহাউদ্দিন জেলায় ধরা পড়ে যান তিনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়েছেন।
কিন্তু যার জন্য তিনি এত বড় ঝুঁকি নিলেন সেই কন্যা শেষ পর্যন্ত কী জানিয়েছে?এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই পাক কন্যা ভারতীয় যুবককে বিয়ে করতে রাজি হননি।
পুলিশ ২১ বছর বয়সি ওই তরুণীয় বয়ান নিয়েছে। তিনি বিয়ে করতে রাজি হননি। পুলিশ অফিসার নাসির শাহ পিটিআইকে জানিয়েছেন, ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, আড়াই বছর ধরে বাবু ও তিনি ফেসবুকের বন্ধু। কিন্তু তিনি বাবুকে বিয়ে করতে চান না।
এদিকে বাবু একেবারে সীমান্ত টপকে চলে যান সানার গ্রামে। সেখানেই গ্রেফতার হন তিনি। বাবুর সঙ্গে রানির দেখা হয়েছে কি না সেই প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে এটা তিনি নিশ্চিত করতে পারবেন না।
এদিকে রানি কোনও চাপের জেরে বিয়ে করতে চাননি কি না সেটাও পরিস্কার নয়। এদিকে সূত্র মারফত পিটিআই জেনেছে, পুলিশ রানির বাড়ির লোকজনকে জেরা করছে যে বাবুর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কীভাবে তৈরি হল।
এদিকে পাকিস্তানের ফরেনার্স অ্য়াক্ট সেকশন ১৩-১৪তে বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ১৪দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পরের শুনানি ১০ জানুয়ারি।
তবে এবারই প্রথমবার নয়। এর আগে অঞ্জু নামে এক ভারতীয় নারী চলে গিয়েছিলেন পাকিস্তানে। পাকিস্তানের যুবককে বিয়ে করার জন্য়।
এদিকে পাকিস্তান থেকেও প্রেমের টানে ভারতে এসেছেন কেউ কেউ। যেমন সীমা হায়দার। তিনি পাবজি খেলতে গিয়ে ভারতীয় যুবকের সঙ্গে প্রেম করা শুরু করেছিলেন। পরে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসেন ভারতে। এরপর থেকে তিনি ভারতেই থাকতে শুরু করেন। গত বছর পাকিস্তানি কন্য়া ইকরি জিওয়ানি ভারতের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের বন্ধনে জড়িয়েছিলেন। অনলাইন গেমের মাধ্য়মে তাঁদের দেখা হয়েছিল। পরে নেপালে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা।