কেপি ওলি শর্মা যখন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন ক্রমেই ভারত-নেপাল সম্পর্ক খারাপ হচ্ছিল। ওলির চিন প্রীতি ভারতের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে শের বাহাদুর দেউবা নেপালের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ফের দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে। এর আগে দিল্লি সফরে এসে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির কথা বলেছিলেন দেউবা। আর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে লুম্বিনি গিয়ে ভারত-নেপল বন্ধুত্বের জয়গান গাইলেন। এদিন মোদী বললেন, ভারত ও নেপালের সম্পর্ক হিমালয়ের মতো অটুট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন আরও বলেছেন, উভয় দেশই বুদ্ধের মতাদর্শ নিয়ে বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে কাজ করবে।
মোদী এদিন বুদ্ধ কনফারেন্সের মঞ্চ থেকে বলেন, ‘ভারত ও নেপালের মধ্যে ক্রমেই সম্পর্ক আরও মজবুত হচ্ছে এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় হচ্ছে। আজ যে ধরনের বৈশ্বিক পরিস্থিতির সামনে আমরা আছি, তাতে সমগ্র মানবতার কল্যাণে কাজ করবে এই দুই দেশ। ভগবান বুদ্ধের প্রতি ভক্তি আমাদের একত্রে আবদ্ধ করে এবং একই পরিবারের সদস্য করে তোলে।’
লুম্বিনিতে বৌদ্ধ জয়ন্তী উপলক্ষে মোদী এই দিন দুই দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মিল তুলে ধরে বলেন, ‘ভারতের বোধগয়া. কুশিনগর থেকে নেপালের লুম্বিনি... এই জায়গাগুলি প্রমাণ করে আমাদের ঐতিহ্য এক এবং আমাদের মূল্যবোধ এক।’ মোদী আরও বলেন, ‘নেপালে লুম্বিনি জাদুঘর নির্মাণ দুই দেশের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার একটি উদাহরণ। এবং আজ আমরা লুম্বিনি বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৌদ্ধ অধ্যয়নের জন্য ডক্টর আম্বেদকর চেয়ার প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ প্রসঙ্গত, নেপালে পালা বদলের পরই ফের একবার দেশটি চিনের থেকে সরে এসে ভারতের দিকে ঝুঁকছে। ভারতও চাইছে যাতে নেপালের সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক ফিরিয়ে আনা যায়। এই আবহে বুদ্ধ পূর্ণিমার এই উপলক্ষকে বেছে নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।