কোটি-কোটি ডলারের প্রতারণার অপরাধে দোষী সব্যস্ত হলেন প্রাক্তন অ্যাপেল কর্মী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধীরেন্দ্র প্রসাদকে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। কর সংক্রান্ত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রায় ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতারণার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই টাকা তাঁকে ফেরত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
৫৫ বছর বয়সী ধীরেন্দ্র প্রসাদকে মেল জালিয়াতি এবং ষড়যন্ত্রে দোষী সব্যস্ত করা হয়েছে। আরও পড়ুন: Partha-Arpita: অর্পিতার বাড়িতে এত টাকা এল কীভাবে? নির্বিকার জবাব পার্থর,শুনলে চোখ কপালে উঠবে
তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ধীরেন্দ্র প্রসাদ অ্যাপল-এ ২০০৮-এর ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ করেছিলেন। সেই সময়, তিনি অ্যাপলের গ্লোবাল সার্ভিস সাপ্লাই চেইনের 'ক্রেতা' ছিলেন। তাঁর মূল কাজ ছিল সেই প্রক্রিয়াকে সহজতর করা। তাঁর মাধ্যমে অ্যাপল পুরনো ডিভাইসে ওয়ারেন্টি মেরামত করার যন্ত্রাংশ কিনত। এদিকে ধীরন্দ্র তাঁর চাকরির ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। দু'টি পৃথক সংস্থার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে অ্যাপলকে প্রতারণা করেন। অর্থাত্, সেই সংস্থার থেকে যন্ত্রাংশ কেনার সময়ে অর্ধেক চুরি করে নিতেন। আবার কখনও যা না যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি বেশি করে বিল বানাতেন এবং অ্যাপেলের থেকে টাকা তুলতেন। এর কারণে অ্যাপেলের প্রায় ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, আয়ের উপর কর ফাঁকিও দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এর পুরোটাই লোভের বশে করেছেন ওই অ্যাপেল আধিকারিক। অ্যাপেল থেকে বিশাল অঙ্কের বেতন পেতেন তিনি। ১০ বছরে কোটি-কোটি টাকা আয় করেছেন তিনি। বোনাসও নিয়েছেন। এদিকে এতকিছুর পরেও সংস্থার বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগ তোলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
তিন বছরের জেলের সাজা ছাড়াও, বিচারপতি ধীরেন্দ্র প্রসাদের প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তাঁকে অ্যাপলকে প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার এবং মার্কিন কর বিভাগকে প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: ‘আমি যেটা ৬ মাসে করছিলাম, সেটা ৬০ বছর লাগলেও কিছু বলার নেই’, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup