UPI-ই সেরা। কার্ডে পোষায় না। এমনটাই বলছেন ভারতীয়রা। পেমেন্টের সুবিধার জন্য ভারতীয় পেমেন্ট সিস্টেম ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেসই প্রথম পছন্দ সকলের। অন্যদিকে কার্ডে পেমেন্টের জন্য অতিরিক্ত চার্জ লাগে। তাই সেদিকে অনীহা সিংহভাগ ব্যক্তিরই। গত অর্থবর্ষে ডেবিট কার্ডে প্রতি ১০০ টাকা খরচের পিছনে UPI-এর মাধ্যমে ১,৯০০ টাকা ব্যয় করেছেন ভারতীয়রা। আরও পড়ুন: দেশের অর্ধেক লেনদেনই UPI মারফত হবে! নগদ টাকার দিন শেষের দিকে?
FY23-এ ডেবিট কার্ডে মোট লেনদেনের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৭.২ ট্রিলিয়ন টাকা। অন্যদিকে UPI-এর জন্য সেই অঙ্ক ছিল ১৩৯.২ ট্রিলিয়ন টাকা। ডেবিট কার্ড ব্যবহারের এই ডেটা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) ৩০ মে প্রকাশিত বার্ষিক রিপোর্ট থেকে এবং UPI লেনদেনের ডেটা ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI)-র পেমেন্ট সিস্টেমের থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
ডেবিট কার্ডে লেনদেন বিগত কয়েক বছর ধরেই হ্রাস পাচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে .৪ কোটি লেনদেন হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেটি কমে .৩৯ কোটি হয়ে যায়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেটি আরও কমে .৩৪ কোটিতে দাঁড়ায়। সেই তুলনায়, FY23-এ UPI লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮.৩৮ কোটি, এমনটাই জানিয়েছে NPCI। UPI-এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে ডেবিট কার্ডের ব্যবহার ক্রমাগত হারে হ্রাস পাচ্ছে।
যদিও ব্যবহারকারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যাশলেশ পেমেন্টের সুবিধার জন্য UPI ব্যবহার করেন। মানিব্যাগ বহন করার ঝামেলা এড়াতেই এমনটা করেন তিনি। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জিরো মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট (MDR) ফি-র কারণে UPI ব্যবহার করেন।
এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহলের ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, মহামারী চলাকালীন, ব্যবহারকারীরা পেমেন্টের জন্য UPI ব্যবহার করতে বাধ্য হন। সেটাই ধীরে ধীরে আমজনতার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে।
'ব্যবসায়ীরা UPI পেমেন্ট পছন্দ করেন, কারণ তাঁদের পেমেন্টের জন্য ব্যয়বহুল PoS [পয়েন্ট অফ সেল] মেশিন স্থাপন করতে হচ্ছে না। অন্যদিকে একটি সাধারণ QR প্রিন্ট দোকানের দেওয়ালে সেঁটে দিলেই যথেষ্ট। সেটি দিয়েই সহজেই যে কোনও স্থানে অনলাইন পেমেন্ট করা যাচ্ছে। সেই কারণেই কার্ডের তুলনায় UPI লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। আরও পড়ুন: SMS Spoofing: চেনা নম্বর থেকে আসা মেসেজেও হতে পারে বিপদ! কী নিয়ে সতর্ক হবেন
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup