দীর্ঘ অসুস্থতার পর দিল্লিতে মারা গেলেন তুরস্কে ভারতের রাষ্ট্রদূত ডঃ বীরেন্দ্র পাল। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (এইমস) তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বীরেন্দ্রর মৃত্যু ভারতের ফরেন সার্ভিসের জন্য একটি ’বড় ক্ষতি’ বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বীরেন্দ্র অসুস্থ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কারোর দুর্বলতার জন্য হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীর,জয়শঙ্করের নিশানা
১৯৯১ ব্যাচের আইএফএস অফিসার ছিলেন বীরেন্দ্র। তাঁর মেডিক্যালের ডিগ্রিও ছিল। তিনি একজন প্রভাবশালী কূটনীতিক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জয়শঙ্কর নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লিখেছেন, ভারতীয় ফরেন সার্ভিসের জন্য এটি বড় ক্ষতি। অনেক জায়গায় তিনি বীরেন্দ্রর সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি এবং পরিষেবা প্রশংসার যোগ্য। তাঁর অনেক অবদান রয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও রাষ্ট্রদূতের মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লিখেছেন, ‘তুরস্কে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বীরেন্দ্র পালের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ব্যতিক্রমী গুণসম্পন্ন এবং প্রভাবশালি পেশাদার অবদানের জন্য তাঁকে সর্বদা মনে রাখা হবে।’ তাছাড়া, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকেও আলাদাভাবে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বীরেন্দ্রর পরিবারের রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যা।
২০০২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে তুরস্কে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন বীরেন্দ্র। তার আগে তিনি কেনিয়াতে ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন এবং সোমালিয়ায় রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এর পাশাপাশি এর আগে তিনি একাধিক প্রতিবেশী দেশে কূটনীতিক বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারতীয় এবং বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান সুষমা স্বরাজ ইনস্টিটিউট অফ ফরেন সার্ভিসের যুগ্ম সচিব হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।
দীর্ঘ কর্মজীবনে বীরেন্দ্র ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন। তার আগে ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ওয়াশিংটনে ভারতের দূতাবাসে কাজ করেছেন। ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া, ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি মস্কোতে ভারতীয় দূতাবাসের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) হিসেবেও কাজ করেছেন। পূর্ব ইউরোপ এবং আমেরিকা বিভাগেও দায়িত্ব পালন করেছেন বীরেন্দ্র।