ভারতের টিকাককরণের হার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন নীতি আয়োগের প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান। রবিবার অরবিন্দ পানাগড়িয়া দাবি করেন, ভারতে যে হারে করোনা টিকা প্রদান করা হচ্ছে, তা মোটেও যথেষ্ট নয়। দেশে দৈনিক কমপক্ষে ৫০ লাখ থেকে ৬০ লাখ টিকা প্রদান করতে হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৩৮.৬ কোটির মতো টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আরও ১১,২৫,১৪০ ডোজ প্রদান করা হবে। সবমিলিয়ে মানুষকে ৩৭.১৬ কোটির মতো টিকার (রবিবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ডোজ দেওয়া হয়েছে। ১.৪৪ কোটি টিকার ডোজ এখনও অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে। শনিবার সকাল আটটা থেকে রবিবার আটটা পর্যন্ত ৩৭,২৩,৩৬৭ ডোজ প্রদান করা হয়েছে।
কিন্তু টিকাকরণের সেই গতিতে খুশি নন নীতি আয়োগের প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দৈনিক ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ টিকা প্রদান করা হচ্ছে। যা একেবারেই যথেষ্ট নয়। আমাদের তা দৈনিক কমপক্ষে ৫০ লাখ বা ৬০ লাখের স্তরে নিয়ে যেতে হবে। এটা স্পষ্ট নয় যে দোনামোনার কারণে নাকি অপর্যাপ্ত উৎপাদনের কারণে তা হচ্ছে না।’
এমনিতে গত মাসের শেষের দিকে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল, জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে করোনাভাইরাস টিকার ১৩৫ কোটি ডোজ মিলবে। অর্থাৎ সবকিছু ঠিকঠাক চললে চলতি বছরের মধ্যেই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলেও আশাপ্রকাশ করা হয়েছিল। কোন টিকার কত ডোজ মিলবে, সেই পরিসংখ্যানও জানিয়েছিল কেন্দ্র। হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছিল, কোভিশিল্ডের ৫০ কোটি ডোজ, কোভ্যাক্সিনের ৪০ কোটি ডোজ, বায়ো-ইয়ের করোনা টিকার ৩০ কোটি ডোজ, জাইডাস ক্যাডিলার করোনা টিকার পাঁচ কোটি ডোজ এবং স্পুটনিক ভি'র ১০ কোটি ডোজ হতে চলে আসবে। আপাতত কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিক ভি'কেে জরুরি ভিত্তিতে ভারতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। বায়ো-ই এবং জাইডাস ক্যাডিলার সম্ভাব্য করোনা টিকা এখনও অনুমোদন পায়নি। তবে অদূর ভবিষ্যতেই দুই টিকা অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিল কেন্দ্র।