সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন যে আপাতত করোনা টিকার রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু সেই নিয়ম বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না বলেই জানিয়েছেন পড়শি দেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল মমেন।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন যে ভারত আশ্বাস দিয়েছে যে সঠিক সময় তাদের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হবে। রবিবারই সেরামের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে সরকার।
তারপরেই স্বভাবতই বাংলাদেশে শুরু হয়েছে উলটো গণনা, কবে বহু প্রত্যাশিত টিকা আসবে দেশে। আবদুল মমেন এদিন বলেন চলতি মাসের শেষেই প্রথম ব্য়াচ টিকা দেশে আসার কথা। বাংলাদেশের বেক্সমিকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে সেরামের। ফেব্রুয়ারির শুরুর মধ্যে তিন কোটি ডোজ বাংলাদেশে পাঠানোর কথা।
কিন্তু আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন যে আপাতত ছাড়পত্র মিলেছে এই শর্ত অনুযায়ী যে যতদিন না দেশের সবচেয়ে প্রয়োজন যাদের করোনা টিকার, তাদের না দেওয়া হচ্ছে, ততদিন রফতানি করা যাবে না। তবে এই কথায় ভ্রুক্ষেপ করছেন না মমেন। তিনি জানান যে ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে এই যে রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা, সেটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। ঠিক সময়ই করোনা টিকা এসে যাবে, চিন্তা করার কোনও কারণ নেই বলেই আশ্বাস দেন মমেন। তিনি বলেন যে নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনার মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতেই চুক্তি হয়েছে তাই ভ্যাকসিন পেতে অসবিধা হবে না। তবে করোনা টিকা পাওয়ার জন্য সম্ভাব্য বিকল্প রাস্তাও যে বাংলাদেশ খতিয়ে দেখছে, তাও জানান মমেন।
উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য একশো কোটি ডোজ তৈরী করার কথা সেরামের। সংস্থার মালিক আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন যে আগে তারা ভারতীয় বাজারে টিকা দেবেন, তারপর COVAX চুক্তির আওতাভুক্ত দেশগুলিকে দেওয়া হবে। মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে সমস্ত অনুমতি পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ তার ৮০ শতাংশ জনসংখ্যা অর্থাৎ ১৪ কোটি মানুষকে আগামী দুই বছরের মধ্যে করোনা টিকা দিয়ে দিতে চায়। এই জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের ট্রেনিংয়ের কাজ চলছে।