মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ডবল মিউট্যান্ট করোনা। করোনার বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট যে কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, তারই প্রমাণ মিলল আরও একবার। সোমবার সান ফ্রানসিস্কোর বে এরিয়ায় এক ব্যক্তির দেহে এই মিউট্যান্টের খোঁজ মিলেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণাগার ভারতীয় ডবল মিউট্যান্ট মেলার কথা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানায়। আর তারপরেই শোরগোল পড়ে যায়। ভারতে হঠাত্ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে এই ডবল মিউট্যান্টকেই দায়ি করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।
ভারতে গত মাসে নতুন ডবল মিউটেশনের খোঁজ মেলে। এর প্রভাবেই হঠাত্ সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। নয়া প্রজাতির E484Q ও L452R-র প্রভাবেই নতুন করে বৃদ্ধি পাচ্ছে সংক্রমণ।
বিশেষজ্ঞদের বর্ণনা অনুযায়ী, তুলনামূলকভাবে বেশি সংক্রামক এই ভেরিয়েন্ট। যার ফলে ভারতের ১৮টি রাজ্যের পর পাড়ি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিন গ্রহণ করা কোনও ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধের পর্দাও কিছুটা হলে ভাঙতে সক্ষম এই নয়া ভেরিয়েন্ট। আগেই করোনা হয়েছে, এমন ব্যক্তিও আবার আক্রান্ত হতে পারেন ভাইরাসের ডবল মিউটেশানে।
বিভিন্ন ভেরিয়েন্টের সংক্রমণের প্রভাব বেশি। একথা বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার অফ ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশান (CDC) । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে জোর কদমে চলছে টিকাকরণ। মোট তিনটি টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে মার্কিন মুলুকে- ফিজার বায়োএনটেক, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসন। ভারতীয় ডবল মিউট্যান্টের বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিনগুলি কতটা কার্যকর, তা নিশ্চিত করাই এখন লক্ষ্য CDC-র।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৬,৫৯৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৫৩০ জন।