অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন ভারতীয় মুসলিমরা। এমনই মন্তব্য করলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনি। আর সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পালটা জবাবও দিল ভারত। খোমেইনির দাবিকে পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করা হল। তাতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হল, 'ভারতে সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। এগুলো ভুল তথ্য এবং অগ্রহণযোগ্য। সংখ্যালঘুদের বিষয়ে মন্তব্য করা দেশগুলোকে অন্যদের সম্পর্কে কোনও পর্যবেক্ষণ করার আগে তাদের নিজেদের রেকর্ড দেখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।' (আরও পড়ুন: আরজি করে চিকিৎসক খুন কাণ্ডে নয়া মোড়, 'আমি খুশি', পোস্ট 'বিদ্রোহী' তৃণমূল সাংসদ)
আরও পড়ুন: 'আরজি করে খুনের মামলায় ধামাচাপা দেওয়ার কথা মেনেছেন মমতা',সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য
উল্লেখ্য, একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে খোমেইনি মায়ানমার, গাজা, ভারতের মুসলিমদের অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছিলেন, 'ভারত, গাজা এবং মায়ানমার-সহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলিমরা দুর্দশায় রয়েছেন। আমরা যদি তাঁদের দুর্দশা সম্পর্কে উদাসীন থাকি, তবে আমরা নিজেদের মুসলিম হিসাবে দাবি করতে পারি না।' এরপরই ভারতের তরফ থেকে বলা হয়, কোনও রকম তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এহেন মন্তব্য করেছেন। (আরও পড়ুন: 'সমঝোতা হয়েছে', মমতা-ডাক্তারদের বৈঠক নিয়ে গভীর রাতে বড় দাবি ঘিরে তোলপাড়)
আরও পড়ুন: 'বিনীত যেখানে কাজ করতে চেয়েছেন…', CP-কে নিয়ে মমতার মন্তব্য ঘিরে বিস্ফোরক অভিযোগ
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভাবে ভালো। তবে এর আগেও খোমেইনি একাধিবার ভারতের মুসলিমদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এর আগে ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সময় তিনি মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, 'কাশ্মীরের মুসলিমদের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ভারতের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে, তবে আমরা আশা করি ভারত সরকার কাশ্মীরের সম্ভ্রান্ত জনগণের প্রতি ন্যায়বিচারের নীতি গ্রহণ করবে এবং এই অঞ্চলের মুসলমানদের উপর নিপীড়ন ও শ্লীলতাহানি প্রতিরোধ করবে।'
উল্লেখ্য, ভারত ও ইরান সম্প্রতি শহিদ-বেহেশতী বন্দর টার্মিনাল পরিচালনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। আঞ্চলিক যোগাযোগ আরও পোক্ত হবে এই চুক্তির মাধ্যমে। সেই চুক্তি স্বাক্ষরের সময় দুই দেশেরই উচ্চপদস্থ মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে এরই মাঝে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এহেন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ভারত। তাই বন্ধুরাষ্ট্রকে পালটা কথা শোনাল দিল্লি।