লাদাখকে কেন্দ্র করে ২০২০ সাল থেকেই ভারত ও চিন দুই দেশের মধ্যে পাল্টে গিয়েছে বহু চেনা সমীকরণ। এদিকে, একদিকে লাদাখে স্থিতাবস্থা ধরে রাখতে যখন দুই পক্ষের সেনার মধ্যে আলোচনা পর্ব জোরদার চলছে, তখনই বেজিংয়ে ভারতের প্রেরিত নতুন রাষ্ট্রদূত পদার্পণ করতে চলেছেন। বেজিংয়ে ভারতের নয়া রাষ্ট্রদূত প্রদীপ কুমার রাওয়াত।
উল্লেখ্য, বেজিংয়ে পা রাখার আগে প্রদীপ কুমার রাওয়াত বহুকাল তাইওয়ানে ভারতের অন্যতম কূটনীতিবিদ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এই তাইওয়ান ঘিরে যে চিনের নজর বেশ তীক্ষ্ণ তা বলাই বাহুল্য। আর সেই তাইওয়ানে কর্মরত থাকার পর এবার বেজিংয়ে পা রাখলেন ভারতের এই দাপুটে কূটনীতিবিদ। ১৯৯০ সালের আইএফএশ এই অফিসার ইন্ডিয়া-তাইপেই অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। উল্লেখ্য, তাইওয়ান ঘিরে চিনের সম্রাজ্যবাদী নজরদারির মাঝেই ভারতের এই কূটনীতিবিজের চিন-গমন দুই দেশের কূটনৈচৃতিক ক্যানভাসে দিল্লির তরফে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। মান্দারিন চাইনিজ ভাষায় দখল রাখা এই ভারতীয় কূটনীতিবিদ ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে হংকং ও বেজিংয়ে ছিলেন বহু কর্তব্যসূত্রে। উল্লেখ্য, প্রদীপ রাওয়াতের সঙ্গেই মান্দারিনে স্বচ্ছ্বন্দ্য রয়েছে এমন বহু তরুণ ভারতীয় কূটনীতিবিদকে বেজিংয়ে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মান্দারিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তাইওয়ানে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ডোকলাম ইস্যুতে চিন-ভারত দুই দেশের মধ্যে আলোচনা পর্বের মধ্যে উজ্জ্বল চরিত্র হিসাবে উঠে আসেন প্রদীপ রাওয়াত। তারপর ২০২২ সালে ফের একবার ভারত-চিন কূটনৈতিক রসায়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশে রয়েছেন এই কূটনীতিবিদ। ৪ মার্চ তিনি পা রাখেন চিনে। বিভিন্ন কোভিড প্রোটোকলের মধ্যে দিয়ে তিনি আপাতত বেজিংয়ে নিজের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এর আগে বেজিংয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন বিক্রম মিস্ত্রি। তিনি বর্তমানে দিল্লিতে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার হিসাবে কর্মরত।