২০২৪ সালের প্রতিটি রাজ্যেই পাঠানো হবে উন্নতমানের, পুষ্টিকর চাল। দেশের অপুষ্টি দূরীকরণে এই উদ্যোগ কেন্দ্রের। কিন্তু তার জন্য পরিকাঠামো আরও উন্নত করা প্রয়োজন।
গত ৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর এই ট্রানজিশনের জন্য ২,৭০০ কোটি টাকা খরচ হবে। পুরোটাই কেন্দ্র দেবে।
ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (FCI) ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট স্কিমে বিতরণ এবং সরবরাহের জন্য ৮৮ লক্ষ টন চাল সংগ্রহ করেছে। আরও পড়ুন: Jio: ইনস্টলেশনের খরচ লাগবে না! ৩৯৯ টাকায় অঢেল ডেটা, OTT
ফর্টিফায়েড রাইস কী? ধান থেকে চাল তৈরির সময় বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ পদার্থ বাদ চলে যায় চালের থেকে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে সেই ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ ফেরানো হয় চালে। এই পদ্ধতিকে ‘ফর্টিফিকেশন’ বলা হয়। ‘ফর্টিফায়েড রাইস’-এর ভাতে বেশি পুষ্টিগুণ থাকে। আলাদা করে তাতে আয়োডিন, ভিটামিন বি-১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন যোগ করা হয়।
ইতিমধ্যেই পাঁচটি রাজ্যের ১৫টি জেলায় এ হেন পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে। স্কুলছাত্র এবং মহিলাদের ভালো মানের চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং ছত্তিশগড় থেকে ৩টি করে জেলা বেছে নেওয়া হয়।
তবে, কেন্দ্রের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি রাজ্যেই এই উন্নত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল সরবরাহ করা। আর সেই কারণে পরিকাঠামো উন্নত করার ভাবনা।
দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও, বিপুল সংখ্যক শিশু এবং মহিলা এখনও ক্ষুধা ও অপুষ্টির শিকার। 'ফর্টিফাইড রাইস প্রোগ্রাম'-এর অধীনে মূলত দু'টি প্রকল্পে কাজ করতে হবে। মিড-ডে মিল স্কিমের মাধ্যমে স্কুলছাত্রদের পুষ্টি প্রদান করা হবে। অন্যদিকে দেশব্যাপী অঙ্গনওয়াড়ি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শিশু ও মহিলাদের ভালো মানের চাল প্রদান করা হবে।
২০২১ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র সরকার আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (PDS) এবং স্কুলের মিড-ডে মিল প্রোগ্রামের অধীনে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্যের মতো স্কিমতে জোয়ার আনবে। এই প্রকল্পগুলির অধীনে ভালো মানের চাল বিতরণ করা হবে।