গরম এখনও সেভাবে পড়েনি। রাতে আর ভোরের দিকে গরম একেবারেই নেই। তবে গরম পড়ার আগেই বিদ্যুতের চাহিদা কিন্তু বাড়ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩১.৫৪ বিইউ, গত বছরে ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২৭.৩৪ বিইউ । তবে দুটি পরিসংখ্যানকে তুলনা করা যায় না, কারণ ২০২৪ সাল ছিল অধিবর্ষ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে বিদ্যুতের খরচ হয়েছিল ১২৭.৩৪ বিইউ। তবে ২০২৪-র মে মাসে দেশে গরমে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ ছিল। প্রায় ২৫০ গিগাওয়াটে পৌঁছেছিল বিদ্যুতের চাহিদা। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ২৪৩.২৭ গিগাওয়াট সর্বকালের সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা হিসেবে রেকর্ড গড়ে ছিল।
গত বছর কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক ২০২৪ সালের মে মাসে দিনের বেলায় সর্বোচ্চ ২৩৫ গিগাওয়াট এবং সন্ধ্যায় ২২৫ গিগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার পূর্বাভাস দিয়েছিল। যেখানে ২০২৪ সালের জুন মাসে দিনের বেলায় ২৪০ গিগাওয়াট এবং সন্ধ্যার সময়ে ২৩৫ গিগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।মন্ত্রক আরও অনুমান করেছিল, ২০২৪ সালের গরমে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ২৬০ গিগাওয়াটে পৌঁছতে পারে।সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের গরমে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ২৭০ গিগাওয়াট ছুঁয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি বছর মার্চ মাসে বিদ্যুতের চাহিদা এবং ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। এই বছর দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মানুষের ফ্যান, কুলার এবং এসি-র ব্যবহার বাড়বে।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, চলতি বছর ভারতে মার্চে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়তে পারে, তার সঙ্গে চলবে তাপপ্রবাহ। দেশের বেশিরভাগ অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৯০১ সালের পর থেকে দেশ সবচেয়ে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি অনুভব করেছে, যেখানে গড় তাপমাত্রা ছিল ২২.০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক ২০.৭০ ডিগ্রির চেয়ে ১.৩৪ ডিগ্রি বেশি। মৌসম ভবন আরও বলেছে, ২০২৫ সালের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তর ভারতে টানা তাপপ্রবাহ হতে পারে। অর্থাৎ এবারও জ্বালানি পোড়ানি গরম থেকে রেহাই নেই। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।