ইতিমধ্যেই দেশের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হিসাবে সাড়া ফেলে দিয়েছেন এস আরিয়া রাজেন্দ্রন। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের মেয়র আরিয়ার বয়স ২০ বছর। আর এই বয়সে তিনি মেয়রের দায়িত্ব পেতেই গড়ে ফেলেছেন রেকর্ড। দেশের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হিসাবে শুরু হয়েছে আরিয়ার পথ চলা। রাজনৈতিক জীবনের হাত ধরে তিনি শিরোনাম কাড়ার পরই ওবার ব্যক্তিগত জীবনেও নজর কাড়লেন আরিয়া।
দেশের সর্বকনিষ্ঠ মেয়রের সঙ্গে বিয়ের জন্য বাগদান পর্ব সম্পন্ন করলেন কেরলের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক। উল্লেখ্য, কেরলের বালাসারির বিধায়ক সচিন দেব। আর তাঁর সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র এস আরিয়া রাজেন্দ্রন। এই বাসরে উপস্থিত ছিলেন দুই রাজনীতিবিদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীরা। ছিলেন কেরল রাজনীতির একাধিকজন। অন্যদিকে, পরিবারের সকলের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় এই বাগদান পর্ব। উল্লেখ্য, সচিনের সঙ্গে আরিয়ার সম্পর্ক বহুদিনের। ২৮ বছরের সচিন বালাসংঘমে পার্টির কাজে যখন ব্যস্ত, তখন থেকেই এই প্রেমপর্ব শুরু। উল্লেখ্য, সচিন একনিষ্ঠ এসএফআই কর্মী ছিলেন। আর তাঁরই সঙ্গে কাজ করছিলেন আরিয়া। সেই সময়ই শুরু হয় এই প্রণয়পর্ব। যা পরবর্তীকালে রাজনৈতিক কাজ কর্মের সঙ্গে তাঁরা এগিয়ে নিয়ে চলেন। আর সেই সম্পর্ক এসে মিলল এক মধুর সুরে।
উল্লেখ্য, কোঝিকোডের নেলিকোডের ভূমিপুত্র সচিন কোঝিকোডের সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য। বালাসুরি থেকে তিনি যখন ভোটে লড়েন, তখন তিনি রাজ্যের এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক। আর সেই ভোট যুদ্ধ জয় করেই তিনি জিতে নেন বিধানসভা নির্বাচন। ইংরেজা সাহিত্যের স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করার পর কোঝিকোডের এলএলবি কলেজে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন সচিন। অন্যদিকে, নিজের কেরিয়ারের সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আরিয়াও। বাগদান পর্বের পর আরিয়া বলেন, যেভাবে তাঁরা রাজনৈতিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন, সেই একইভাবে তাঁরা আগামী দিনেও দায়িত্ব সামলে নেবেন। যে দায়িত্ব তাঁদের পার্টি দিয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করবেন।