আফগানিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিক এই প্রথম সরকারি ভাবে দেখা করলেন তালিবানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুবের সঙ্গে। মনে করা হচ্ছে, ভারত সরকার এবং তালিবানের মধ্যে সম্পর্কের আরও প্রসার ঘটানো নিয়ে আলোচনা হয় দুই পক্ষের। রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার ইয়াকুবের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশ মন্ত্রকের পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান বিভাগের যুগ্ম সচিব জেপি সিং। এই বৈঠকটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মে করছেন বিশ্লেষকরা। বৈঠক সম্পর্কে অবগত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রয়াত সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা ওমরের ছেলে ইয়াকুব এর আগে কখনও ভারতীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে কথা বলেননি। (আরও পড়ুন: ট্রাম্প পত্নীকে নিয়ে 'কুরুচিকর মজা' সিংভির, 'সেক্স টেপ' নিয়ে খোঁচা তরুণজ্যোতির)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে হারাতে দিয়েছিলেন চাঁদা? US ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন বাংলাদেশের ইউনুস?
আরও পড়ুন: কানাডার মন্দিরে খলিস্তানি হামলার পর সাসপেন্ড হিন্দু পুরোহিত, তাঁর দোষ...
এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই সব বৈঠক নিয়ে কোনও বক্তব্য পেশ করা হয়নি সরকারি ভাবে। তবে তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে বলা হয়, জেপি সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন ইয়াকুব। দুই পক্ষের সম্পর্ক আরও কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয় সেই বৈঠকে। তালিবানের সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ করে মানবাধিকার ক্ষেত্রে দুই পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও পোক্ত করতে চায়। (আরও পড়ুন: খলিস্তানিদের তাণ্ডবের আবহে নিজেদের 'অকর্মণ্য' প্রমাণ কানাডার, বড় পদক্ষেপ ভারতের)
আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা ইস্যুতে হাতাহাতি, কুস্তির আখড়ায় পরিণত জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা
উল্লেখ্য, বুধবার আগাম কোনও ঘোষণা ছাড়াই আফগান রাজধানী কাবুলে পা রাখেন জেপি সিং। এদিকে সফরকালে ইয়াকুবের পাশাপাশি তালিবানের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেছেন জেপি সিং। ভারতীয় আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হামিদ কারজাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লেখেন, 'ঐতিহাসিক ভাবে দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। এই আবহে বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যতটা সম্ভব আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। আফগান মানুষের জন্যে ভারত যা করছে তা প্রশংসনীয়। তবে আফগান তরুণদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া উচিত। বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো উচিত। দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণ আরও সহজ করা উচিত।'