আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে।এমনটাই দাবি করা হয়েছে সিএনবিসি-টিভি১৮-র রিপোর্টে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে চূড়ান্ত পর্বের আলোচনা চলছে নয়া দিল্লি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে। কিন্তু চুক্তির বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষেরই আপত্তি রয়েছে এবং তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে অনড়। যদিও আলোচনার মাধ্যমে সেগুলি দ্রুত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে দুই দেশই।
প্রতিবেদন অনুসারে, চুক্তির অধীনে গড় শুল্ক প্রায় ১০ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পারস্পরিক শুল্ক আরোপে নিষেধাজ্ঞার মার্কিন সময়সীমা ৯ জুলাই শেষ হচ্ছে এবং তার আগেই দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে। তবে ভারত কৃষিক্ষেত্রে তার শর্তাবলীতে অনড়। ভারত কৃষি ও দুগ্ধ খাতে শুল্ক চাপানোর অবস্থানে দ্বিধাগ্রস্ত। অন্যদিকে, ভারত শ্রমের সঙ্গে যুক্ত শিল্পগুলিতে আরও বেশি প্রবেশাধিকার চেয়েছে।
আরও পড়ুন-লোহিত সাগরে বড় হামলা! জাহাজে গ্রেনেড বর্ষণ, নেপথ্যে কোন গোষ্ঠী?
গত কয়েকদিন ধরে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে নানা বিবৃতি জারি করা হচ্ছে। এদিকে, সূত্র জানিয়েছে যে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং শীঘ্রই এ বিষয়ে ঘোষণা করা হতে পারে। ভারতের বাণিজ্য দল গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে গিয়েছিল। তারা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়া পর্যন্ত সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ দুই পক্ষ ৯ জুলাই মার্কিন শুল্কের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের সময়সীমার আগে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে চাইছে। উভয় পক্ষই বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। ওয়াশিংটনের দাবি যে ভারত তার বাজার জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফসলের জন্য খুলে দেবে। যা নয়াদিল্লি এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই রেড লাইন দিয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন-লোহিত সাগরে বড় হামলা! জাহাজে গ্রেনেড বর্ষণ, নেপথ্যে কোন গোষ্ঠী?
এদিকে, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন যে ৯ জুলাই উচ্চ শুল্ক আরোপের সময়সীমার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি বাণিজ্য চুক্তি আলোচনায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগামী দিনে বেশ কয়েকটি বড় ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।মার্কিন মসনদে বসার পর শুল্ক যুদ্ধের ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক ছাড়াও আরও ২৬ শতাংশ কর চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে সূত্রের খবর, দুই দেশ একে অপরের উপর থেকে শুল্ক কমাতে পারে। বস্ত্র, গয়না, চর্মজাত জিনিস-সহ একাধিক বিষয়ের উপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক কমাতে বলা হয়েছে ভারতের তরফে। অন্যদিকে, ইলেকট্রিক গাড়ি, মদ, ডেয়ারি পণ্যের উপর থেকেও শুল্ক কমাতে বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও।