বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > বিমানবন্দরে মৃত যাত্রীর পরিবারকে ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

বিমানবন্দরে মৃত যাত্রীর পরিবারকে ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

 ফাইল ছবি: পিটিআই (PTI)

২০২১ সালের নভেম্বরে চন্দ্র শেঠি নামের ওই ব্যক্তি তাঁর পরিবারের সঙ্গে বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছিলেন। তাঁর স্ত্রী সুমতি ও মেয়ে দীক্ষিতা সঙ্গে ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, স্ত্রী এবং কন্যা ইন্ডিগোর গ্রাউন্ড স্টাফ এবং বিমানবন্দরের টিমের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। 

বিমানবন্দরে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু। যাত্রীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ। বেঙ্গালুরুর কেম্পেগড়ওয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর(KIA) এবং ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সকে এই ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীকে হুইলচেয়ার এবং চিকিকত্সা সহায়তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আরও পড়ুন: Mother's Day: মাতৃদিবসে এক উড়ানে বিমানসেবিকা মা ও মেয়ে! ভাইরাল IndiGo-র ভিডিয়ো

কর্ণাটকের এক উপভোক্তা আদালত KIA এবং ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষকে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১২.১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। আদেশ প্রদানের ৪৫ দিনের মধ্যেই এই টাকা প্রদান করতে হবে। এর মধ্যে ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং ১০ হাজার টাকা মামলার খরচ হিসাবে ধরা হয়েছে।

২০২১ সালের নভেম্বরে চন্দ্র শেঠি নামের ওই ব্যক্তি তাঁর পরিবারের সঙ্গে বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছিলেন। তাঁর স্ত্রী সুমতি ও মেয়ে দীক্ষিতা সঙ্গে ছিলেন।

চেক-ইন-এর পরপর চন্দ্র শেট্টি হঠাত্ মেঝেতে পড়ে যান। তাঁর পরিবারের সদস্যদের দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, স্ত্রী এবং কন্যা ইন্ডিগোর গ্রাউন্ড স্টাফ এবং বিমানবন্দরের টিমের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, রোগীর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের সহায়তা করা হয়নি। হুইলচেয়ারও প্রদান করা হয়নি।

প্রায় ৪৫ মিনিট পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু মাঝপথেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃতের পরিবার এরপরে ইন্ডিগো এবং বিআইএল-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় ২০২২ সালের মার্চে শান্তিনগরে ব্যাঙ্গালুরু জেলা ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের দ্বারস্থ হয় সেই পরিবার।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ গ্রাহক সুরক্ষা আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করে। এদিকে বারবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও ইন্ডিগো কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। BIAL জানায়, বিমানবন্দরের কর্মীরা যাত্রীকে টার্মিনালের ভিতরে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। তারপরে তাঁকে এক বাগিতে করে অ্যাস্টার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরিবারের অভিযোগের সপক্ষে, উপভোক্তা আদালত বিমানবন্দর কর্মীদের দৃষ্টিভঙ্গিকে 'অমানবিক' বলে উল্লেখ করেছে। সেই সঙ্গে আরও জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপদ পরিবেশ প্রদান করা এয়ারলাইন্স এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। আরও পড়ুন: Go First বন্ধ হতেই উড়ান বাড়িয়ে দিল IndiGo, Air India!

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন