১০ বছর বয়সি নাবালিকাকে পরিচারিকা হিসেবে রেখেছিলেন এক পাইলট। শুধু তাই নয়, সেই নাবালিকার ওপর রীতিমতো অত্যাচার চালানোর অভিযোগ সেই পাইলটের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত পাইলটের স্বামীও। পাইলটের স্বামীও একজন বিমানকর্মী। নাবালিকা পরিচারিকার ওপর অত্য়াচার চালানোর অভিযোগে সম্প্রতি এই দম্পতিকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে সাধারণ মানুষ। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হতেই এবার অভিযুক্ত পাইলটকে 'ডিরস্টার' করল তাঁর সংস্থা। জানা গিয়েছে, সেই পাইলট ইন্ডিগোর হয়ে বিমান ওড়াতেন। তবে পরিচারিকা নিগ্রহের বিতর্কে জড়ানোর জেরে আপাতত আর বিমান ওড়াতে পারবেন না তিনি।
এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীকে গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছে রাস্তায় ফেলে। অভিযুক্ত মহিলা সেই সময় পাইলটের পোশাকেই ছিলেন। তাঁর চুল ধরে টানতে দেখা যায় উত্তেজিত জনতাকে। সেই পাইলটকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শোনা যায়। এর কিছুক্ষণ পর তিনি বারংবার 'সরি' বলতে থাকেন। তবে গণপ্রহার জারি থাকে। এদিকে কাছেই আরও একদল লোক সেই পাইলটের স্বামীকে মারছিল। ভিডিয়োতে দেখা যায়, স্বামী সেখান থেকে এসে তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকে। এদিকে ভিডিয়োতে কাউকে বলতে শোনা যায়, 'এই মহিলা (পাইলট) মারা যাবে।' পরে কয়েকজন মিলে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে। সেই পাইলটকে বাঁচায়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দম্পতি প্রায় দুই মাস আগে একটি ১০ বছরের মেয়েকে ঘরের কাজের জন্য ভাড়া করেছিল। পরে মেয়েটির এক আত্মীয় তার হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেয়। চুরির সন্দেহে মেয়েটিকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। নাবালিকা আঙুল তোলে পাইলট ও তার স্বামীর দিকেই। এরপরে স্থানীয় বাসিন্দারাও এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে পারে। এর জেরে নাবালিকা নির্যাতনে অভিযুক্ত দম্পতিকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দম্পতিকে আটক করে। একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে।
দ্বারকার সিনিয়র পুলিশ অফিসার এম হর্ষ বর্ধন জানান, নাবালিকা মেয়েটির হাতে পোড়া দাগ আছে। চোখের নীচেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, 'একটি ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে এবং শিশুটির কাউন্সেলিং চলছে। তার বয়ানের ভিত্তিতে আমরা ভারতীয় দণ্ডবিধি, শিশু শ্রম (নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ন্ত্রণ) আইন এবং জুভেনাইল জাস্টিস (শিশুদের সুরক্ষা) আইনের কঠোর ধারার অধীনে একটি অভিযোগ নথিভুক্ত করেছি।'