বৃহস্পতিবার সকাল। নাগপুর বিমানবন্দরের বোর্ডিং গেটেই লুটিয়ে পড়লেন ইন্ডিগোর এক পাইলট। সেখানেই মৃত্যু হল তাঁর। পুনেগামী বিমান চালানোর কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগে মৃত্যু ছিনিয়ে নিল তাঁকে। একাধিক রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই পাইলটের বয়স মাত্র ৪০ বছর। ইন্ডিগোর পাইলট হিসাবে তাঁর বিমান নিয়ে পুনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমান ছাড়ার আগেই বোর্ডিং গেটের সামনেই সব শেষ।রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সিকিউরিটি হোল্ড এলাকায় তিনি বসেছিলেন। সেই সময়ই তিনি ঢলে পড়েন। সেখানেই মৃত্য়ু হয় তাঁর।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে KIMS-Kingsway Hospital-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, আচমকা তাঁর হার্টফেল হয়। তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
তবে এমার্জেন্সি টিম তাঁর সিপিআরের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু তারপরেও তাঁকে রক্ষা করা যায়নি।
এদিকে সম্প্রতি বিমানের ভেতরে এক পাইলটের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। মিয়ামি থেকে চিলির দিকে যাচ্ছিল বিমানটি। তাতে ২৭১জন যাত্রী ছিলেন। বাণিজ্যিক ওই বিমানে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন পাইলট। তিনি বাথরুমে গিয়েছিলেন। সেখানে মারা যান তিনি। এবার বিমান চালানোর আগেই মারা গেলেন এক পাইলট।
ইন্ডিগোর বিমান নিয়ে আর একটু পরেই তিনি উড়ে যেতেন পুনের দিকে। কিন্তু তার আগেই বিপত্তি। এবার ইন্ডিগো গোটা ঘটনা নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, নাগপুরে আমাদের এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এই ঘটনায় দুঃখিত। নাগপুর বিমানবন্দরেই তিনি অসুস্থতা বোধ করেন।এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও প্রার্থনা রইল।
এদিকে গোটা ঘটনায় ফের চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। মাত্র ৪০ বছর বয়সে চলে গেলেন তিনি। বুধবারও দিল্লি-দোহা ফ্লাইটের প্যাসেঞ্জার কেবিনে বসেছিলেন কাতার বিমান সংস্থার এক পাইলট। সেখানেই হার্ট অ্য়াটাক হয় তাঁর।