ব্যবসা বাঁচাতে গেলে কিছু আত্মত্যাগ করতে হবে, এই কথা বলে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে গেল ইন্ডিগো। সংস্থার সিইও রণজয় দত্ত জানালেন যে করোনার জেরে অর্থনৈতিক মন্দার ফলে দশ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিগো।
রণজয় দত্ত বলেন যে এই অর্থনৈতিক ঝড় সামলানো সম্ভব নয় কোনও আত্মত্যাগ ছাড়া। ব্যবসাকে বাঁচানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার বলে জানান সংস্থার কর্ণধার। সমস্ত পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করে কর্মী সংকোচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান রণজয়বাবু। তিনি বলেন যে ইন্ডিগোর ইতিহাসে এই প্রথম এত লোকের চাকরি যাবে।
ভারতের সবচেয়ে বড় বিমান পরিবহণ সংস্থা ইন্ডিগো। কিন্তু করোনার জেরে যেভাবে ফ্লাইট পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে ইন্ডিগোর ওপরেও। ইন্ডিগোর প্রায় ৩ ০ হাজারের মতো কর্মী ছিল। সেই হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষে তিন হাজার কর্মী চাকরি হারাবেন।
ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে বিনা বেতনে ছুটি ও মাইনে কমানোর মতো বেশ কিছু সিদ্ধান্ত তাদের নিতে হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও খরচা সামলানো যাচ্ছে না। ফলে এই কঠিন সিদ্ধান্তের পথে গেলেন তারা।
নোটিস পিরিয়ডের টাকা ছাড়াও প্রতি বছরের কাজের জন্য এক মাসের অতিরিক্ত মাইনে পাবেন বরখাস্ত হওয়া কর্মীরা। কম করে তিন মাসের মাইনে এই কর্মীরা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
সারা বিশ্ব জুড়ে তাবড় তাবড় এয়ারলাইন্স করোনার জেরে কর্মী সংকোচন করেছে। এবার সেই পথে গেল ভারতের বাজেট এয়ারলাইন্স ইন্ডিগো।