ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার। এই যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশে সেক্ষেত্রে সেই কালচারাল সেন্টারের কী হল এবার? সূত্রের খবর, সোমবার ঢাকাতে ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায়। একাধিক ভিডিয়োতে দেখা যায় যে গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামি লীগের নেতাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আর তখনই ওই কালচারাল সেন্টার ও বঙ্গবন্ধু ভবনেও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই মিউজিয়ামটিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিরক্ষায় তৈরি হয়েছিল।
এদিকে রয়টার্স ও এএনআইয়ের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিল্ডিংয়ের একাংশ পুড়ে গিয়েছে। একটা সময় সবুজ লনের সামনে লেখা থাকত ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার। সেখানে কেবলমাত্র কয়েকটি অক্ষর লেখা ছিল। বাকিগুলি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। একাধিক জানালা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এদিকে সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় একাধিক যুবক ওই ভবনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে তারা লম্বা পাইপগুলি সরাচ্ছিলেন। একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে অর্ধদগ্ধ ব্যাগ, নানা ধরনের সামগ্রী পড়ে রয়েছে এলাকায়। একেবারে সামনের দিকটা পুড়ে গিয়েছে। তারপাশটা কালো হয়ে গিয়েছে। কার্যত ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ভেতরে যা ছিল। একটা সময় এই ভবনই ছিল কত সুন্দর। কিন্তু ঘরের ভেতরে যা ছিল সেগুলি আর কিছু নেই। চারপাশে শুধু ধ্বংসের ছাপ। দেওয়ালের রঙ বলে আর কিছু নেই। কেবলমাত্র ইঁটের কঙ্কাল পড়ে রয়েছে।
সেই সঙ্গেই দেখা যায় পুড়ে যাওয়া প্রচুর সামগ্রী পড়ে রয়েছে করিডরে। ২০১০ সালের উদ্বোধন করা হয়েছিল এই ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য়ে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার জন্য় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখানে সেমিনার, ওয়ার্কশপস, ভারতের শিক্ষকরা এখানে যোগা শেখাতেন। এখানে নাচ গানের চর্চা হত। কত্থক ও মণিপুরী নাচ শেখানো হত এখানে। প্রায় ২১ হাজার বইয়ের লাইব্রেরি ছিল এখানে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস এই ভবনটির পরিচালনা করত।
এদিকে শেখ হাসিনার বাসভবনেও ঢুকে পড়েছিল জনতা। শাড়ি, মাছ থেকে ছাগল, বালিশ- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন থেকে এমনই সব বিভিন্ন জিনিস নিয়ে 'পালালেন' বিক্ষোভকারীদের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সংক্রান্ত একাধিক ভিডিয়ো এবং ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের লেক থেকে মাছ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন অনেকে। বালিশ, ছাগল, শাকসবজি, কাপ নিয়ে পালাতে দেখা গিয়েছে একাধিক ব্যক্তিকে। রীতিমতো হাসিমুখে পোজ দিতেও দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার ভাইরাল একাধিক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে গণভবনের মধ্যে রীতিমতো মাংস খাচ্ছেন কয়েকজন।