বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > সীমান্ত বিরোধের মধ্যেই বিহারে জমি জরিপ শেষ করল ভারত-নেপাল যৌথ দল

সীমান্ত বিরোধের মধ্যেই বিহারে জমি জরিপ শেষ করল ভারত-নেপাল যৌথ দল

ভারত ও নেপালের মধ্যে জমি বিবাদের মাঝেই জরিপের কাজে নামল দুই দেশের যৌথ প্রতিনিধি দল।

আগামী ১০ দিনের মধ্যে জমি জরিপের রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।

ভারত ও নেপালের মধ্যে জমি বিবাদের মাঝেই জরিপের কাজে নামল দুই দেশের যৌথ প্রতিনিধি দল। সীমান্ত সংলগ্ন বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার ঢাকা ব্লকে বৃহস্পতি ও শুক্রবার চলল জমি জরিপের কাজ।

বিভাগীয় আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দেরাদুন থেকে আসা দুই সদস্যের ভারতীয় দল নেপালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যৌথ ভাবে বলুওয়া গুয়াবাড়ি পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা বলুওয়া গ্রামে দুই দিন ধরে জমি জরিপ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছেন। তাঁদের জমা দেওয়া রিপোর্টে জমি সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যার সুরাহা হবে বলে আশা করা হচ্ছে, জানিয়েছেন পূর্ব চম্পারণের জেলাশাসক শিরসাত কপিল অশোক। আগামী ১০ দিনের মধ্যে জমি জরিপের রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে। 

বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার বলুওয়া গ্রামে দুই দিন ধরে জমি জরিপ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে।
বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার বলুওয়া গ্রামে দুই দিন ধরে জমি জরিপ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে।

গত মাসে পূর্ব চম্পারণ জেলার ঢাকা ব্লকে লাল বাকেয়া নগীর তীর বরাবর বাঁধ গড়ে তোলার সময় নেপাল আপত্তি জানানোর পরে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানান জেলাশাসক। নেপালের আপত্তির কারণে লাল বাকেয়া নদীতীরের পিলার নম্বর ৩৪৬/৫ থেকে ৩৪৬/৭ পর্যন্ত বাঁধের নির্মাণকাজ স্থগিত রাখতে হয়েছে। 

এ দিকে, ভারত-নেপাল জমি বিবাদের জেরে গভীর সমস্যায় পড়েছেন বলুওয়া ব্লকের অধীনে থাকা গ্রামের বাসিন্দারা। লাল বাকেয়া নদীর বাঁধ মেরামত না হলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে গুবারি, বলুওয়া, ভবানীপুর, হীরাপুর, মহুওয়াহা, ফুলওয়ারিয়া প্রভৃতি গ্রামগুলিতে। নেপালের পাহাড় থেকে শুরু করে সীমান্ত পেরিয়ে বিহারের বলুওয়া ব্লকের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়ে শেষে বাগমতী নদীতে মিশেছে লাল বাকেয়া নদী। 

বছরের অন্য সময় বিশেষ জল না থাকলেও বর্ষায় ফুলেফেঁপে উঠে প্রতি বছরই বিহারের এই গ্রামগুলি ভাসিয়ে নিয়ে যায় এই নদী। ভাঙা বাঁধ মেরামত না করলে এ বছরেও যে তাঁদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে, সেই আশঙ্কাতেই কাঁটা হয়ে রয়েছেন গ্রামের মানুষ। 

বন্ধ করুন