বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Indonesian rule on sex outside marriage: বিয়ে-বহির্ভূত সেক্স করলেই জেল! নয়া নিয়ম চালু এই মুসলিম দেশে, লিভ-ইনেও শাস্তি

Indonesian rule on sex outside marriage: বিয়ে-বহির্ভূত সেক্স করলেই জেল! নয়া নিয়ম চালু এই মুসলিম দেশে, লিভ-ইনেও শাস্তি

নয়া নিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ইন্দোনেশিয়ায়।  (AP)

Indonesian rule on sex outside marriage: ইন্দোনেশিয়ার নয়া বিধি অনুযায়ী, বিয়ে-বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের শাস্তি এক বছর৷ এক্ষেত্রে শুধুমাত্র দম্পতির একজন, বাবা-মা ও সন্তানদের অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে৷

ইন্দোনেশিয়ার সংসদে মঙ্গলবার নতুন একটি ফৌজদারি বিধি পাস হয়েছে৷ এর মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের অধীনে থাকাকালীন প্রণীত বিধিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে৷ তিন বছরের মধ্যে নতুন এই বিধি কার্যকর হওয়ার কথা৷

ফৌজদারি বিধিতে পরিবর্তন আনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংসদীয় কমিশনের প্রধান বামবাং উরিয়ান্তো সংসদকে বলেন, ‘পুরনো বিধি ডাচ ঐতিহ্যের অংশ... সেটা এখন প্রাসঙ্গিক নয়৷'

নতুন বিধিতে যা আছে:

  • বিয়ে-বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের শাস্তি এক বছর৷ এক্ষেত্রে শুধুমাত্র দম্পতির একজন, বাবা-মা ও সন্তানদের অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে৷
  • বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকা জুটি সর্বোচ্চ ছয় মাসের শাস্তি পেতে পারেন৷
  • দেশের প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্টের ‘সম্মানে আঘাত' করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল হতে পারে৷
  • সরকারের অবমাননার শাস্তি সর্বোচ্চ দেড় বছরের কারাদণ্ড৷ আর এই অবমাননা থেকে বিক্ষোভ শুরু হলে শাস্তি বেড়ে তিন বছর হতে পারে৷
  • ‘ভুয়ো খবর' ছড়ানোর শাস্তি সর্বোচ্চ ছয় বছরের কারাদণ্ড৷

বিয়ে-বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণে শাস্তির বিধান পর্যটন শিল্পে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীরা৷ তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বালিতে যাওয়া পর্যটকদের কোনও সমস্যা হবে না৷

এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ফৌজদারি বিধিতে আনা সংশোধনীগুলো রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ৷ এছাড়া এগুলো ইন্দোনেশিয়াকে মৌলবাদের দিকে ঠেলে দেবে, যেখানে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা আছে৷

ইন্দোনেশিয়ার আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াসোনা লাওলি সংসদকে বলেন, ‘আমরা সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও ভিন্ন মত বিবেচনায় নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি৷ তবে পেনাল কোডের সংশোধনী এবং উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ঔপনিবেশিক ফৌজদারি বিধি ত্যাগ বিষয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখন৷'

(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)

বন্ধ করুন