তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার মালুকু প্রদেশের তানিম্বর দ্বীপপুঞ্জে। ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে পূর্ম তাইমোরেও। কম্পনের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৬। মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত চারটি আফটারশকে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে উত্তর অস্ট্রেলিয়াতে পর্যন্ত এটি অনুভূত হয়েছে। ৩ থেকে ৫ সেকেন্ড স্থায়ী এই কম্পনের জেরে ১৫টি বাড়ি, দু'টি স্কুল ভেঙে পড়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। স্থানীয় সময় গভীর রাতে, ২টো বেজে ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩০ কিমি গভীরে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল। এই আবহে প্রাথমিক ভাবে সুনামির সতর্কতা জারি করা হলেও পরে ভোরের দিকে তা প্রত্যাহার করা হয়। (আরও পড়ুন: জোশীমঠে কেন এই ভয়ানক ভূমিধস? কী হবে হাজার হাজার মানুষের?)
ইন্দোনেশিয়া বিপর্যয় এজেন্সির প্রধান দ্বিকরিতা কর্ণবতী জানান, এই ভূমিকম্পের জেরে সমুদ্রের জলের স্তরে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। তা সত্ত্বেও উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এজেন্সির তরফে। কর্ণবতী জানান, প্রাথমিক ভাবে ভূমিকম্পের পর উৎসস্থলের আশেপাশে ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে গিয়েছিল। এর জেরেই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তবে সুনামি সতর্কতা আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদিকে ভূমিকম্পের পর যে আফটারশকগুলি এসেছে রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ছিল ৫.৫। এদিকে উত্তর অস্ট্রেলিয়া ডারউইন শহর-সহ বহু জায়গায় এই কম্পন অনুভূত হয়। হাজার হাজার মানুষ কম্পন অনুভূত হওয়ার অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তবে অস্ট্রেলিয়ান সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কারণে সুনামির মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়নি।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া প্রায়শই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে এবং এটি প্রশান্ত মহাসাগরের 'রিং অফ ফায়ার'-এ অবস্থিত। সেখানেই বিশ্বের বেশিরভাগ আগ্নেয়গিরি আছে। পাশাপাশি এই অঞ্চলেরই বিশ্বের সর্বাধির ভূমিকম্প অনুভূত হয়ে থাকে। এর আগে, নভেম্বর মাসেই ৫.৬ তীব্রতায় ভূমিকম্প হয় ইন্দোনেশিয়ায়। তাতে ৩০০-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন।