মর্মান্তিক মৃত্যু হল ‘যমরাজ’ হিসেবে পরিচিত ইন্দোর পুলিশের এক হেড কনস্টেবল। তাঁর নাম জওহর সিং যাদব। করোনা থেকে শুরু করে পথচারী, বিভিন্ন সময়ে যমরাজের পোশাক পড়ে তিনি মানুষকে সচেতন করেছেন। সেই থেকেই তিনি যমরাজ হিসেবে খ্যাত হয়ে ওঠেন। জানা যাচ্ছে, গরুকে স্নান করানোর সময় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে ইন্দোরের পুলিশ মহলে।
আরও পড়ুন: কলকাতার পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যু দার্জিলিংয়ে, শুরু হয়েছে পুলিশের জোরদার তদন্ত
ইন্দোর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জওহর সিং কোভিডের সময় হিন্দুদের মৃত্যুর দেবতা যমরাজের পোশাক পরে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে ছিলেন। মানুষকে বাড়িতে থাকা এবং টিকা নেওয়ার জন্য সচেতন করেছিলেন। সেই সময় তিনি সকলের নজরে আসেন। শুধু তাই নয়, বাইক আরোহী ও চালকদের হেলমেট পরার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রচারের সময়েও তিনি যমরাজ পোশাক পরেছিলেন। যারফলে তিনি সকলের কাছে কাছে ইন্দোর পুলিশের একজন পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। যমরাজের পোশাক পরা তাঁর ছবি এবং ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়।
তিনি দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের কনস্টেবল পদে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কাজ করে গিয়েছেন। জানা যায়, তিনি তার বাড়ির কাছে একটি ছোট ঘেরে একটি গরু রেখেছিলেন। সেখানে শুক্রবার সকালে তিনি গরুটিকে স্নান করাচ্ছিলেন। সেই সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা যান। তখন এক পথচারী তাঁকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে চৈথরাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইন্দোরের জুনি থানার পুলিশ।
জানা যায়, পরিবারের সদস্য ও পুলিশ তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তখনও তিনি বেঁচেছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। শেষে চৈথরাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কর্মীদের অনেকের বক্তব্য, জওহর সিং যাদব একজন অত্যন্ত প্রাণবন্ত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সর্বদা মানুষকে সাহায্য করতে প্রস্তুত ছিলেন। তিনি প্রায়ই পুলিশের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতেন। কোভিড ছাড়াও, বাইক চালকদের হেলমেট পরা সম্পর্কে সচেতন করার উদ্দেশ্যে তিনি বেশ কয়েকবার যমরাজও হয়েছিলেন। ইন্দোর পুলিশে তার পরিচয় যমরাজ হিসেবে।