ভারতের পরিচ্ছন্ন শহর কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তর জানার ইচ্ছা থাকে অনেকেরই। উত্তরটা হল ইন্দোর। স্বচ্ছতার নিরিখে সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ইন্দোর। তবে একবার নয়, একেবারে পরপর সাত বছর ইন্দোর দেশের পরিচ্ছন্ন শহরের তকমা জিতে নিল।
আবাসন ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে গত ১৮ জানুয়ারি সুপার স্বচ্ছ লিগের আয়োজন করা হয়েছিল।
এই সুপার স্বচ্ছ লিগে দেখা হয়েছিল যে সমস্ত শহরগুলি গত তিন বছরে অর্থাৎ ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাদের ক্যাটাগরিতে অন্তত দুবার প্রথম তিনটির মধ্য়ে ছিল তাদের দেখা হয়। এর আগে ১২টি শহর এই লিগে কোয়ালিফাই করেছিল। এটা আসলে স্বচ্ছ ভারত মিশনেরই একটা অংশ। মূল লক্ষ্য হল ভারতকে আরও স্বচ্ছ আরও সুন্দর করে গড়ে তোলা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহর লাল লিগের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। প্রতিযোগিতার একটা মনোভাব রাখার ব্যাপারে বলা হয়েছে। জনসংখ্য়ার উপর ভিত্তি করে এই ক্যাটাগরি ঠিক করা হয়েছিল। অন্তত পাঁচটি বিভাগ করা হয়েছিল।
খুব ছোট( ২০,০০০ এর নীচে)
ছোট( ২০,০০০-৫০০০০)
মাঝারি( ৫০,০০০ থেকে তিন লাখ)
বড়( তিন লাখ থেকে ১০ লাখ)
মিলিয়ন প্লাস( ১০লাখের উপর)
এই বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করার একটাই লক্ষ্য হল শহরগুলি যাতে তাদের নিজেদের পর্যায়ের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। বড় শহরের পর্যায়ে রয়েছে নয়ডা, চন্ডীগড়ের মতো শহর। আর মিলিয়ন প্লাসের ক্যাটাগরিতে রয়েছে নভি মুম্বই ইন্দোর, সুরাটের মতো শহর।
এর আগে ২০২৩ সালে জানা গিয়েছিল, ইন্ডিয়া স্মার্ট সিটিস অ্যাওয়ার্ড কনটেস্ট ২০২২( India Smart Cities Awards Contest( ISAC) 2022। সেখানে ইন্দোর ১২টা ক্যাটাগরিতে ৬টাতে জয় পেয়েছিল। ন্যাশানাল স্মার্ট সিটি অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছিল এই শহর।
গোবর্ধন বায়ো সিএনজি প্ল্যান্টে একেবারে শীর্ষে ছিল এই শহর। শহর এলাকার পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতেও একেবারে ওপরের দিকে রয়েছে ইন্দোর। সরস্বতী ও কাহন লাইফ লাইন প্রজেক্টের সফল রূপায়নেও এগিয়ে রয়েছে এই শহর। বৃষ্টির জলে চাষ আবাদ, ওয়াটার প্লাস, ওয়াটার সারপ্লাস প্রকল্পেও একেবারে ফাটাফাটি সাফল্য পেয়েছে এই শহর। হ্রদ, জলাধারের জলও এখানে অত্যন্ত উন্নত ধরনের। সেই সঙ্গেই আরও তিনটে প্রকল্পের ক্ষেত্রে যেমন নদী সংলগ্ন এলাকার পরিচ্ছন্নতা, অর্থনৈতিক দিক থেকে ও কোভিডের সময় সার্বিকভাবে মোকাবিলার ক্ষেত্রেও রানার্স আপ হয়েছিল এই শহর।
ইন্দোর আর সুরাট এই দুই শহর যৌথ ভাবে সবচেয়ে ভালো স্মার্ট সিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল সেবার।
ইন্দোর স্মার্ট সিটি চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার দিব্যাঙ্ক সিং জানিয়েছিলেন কীভাবে এটা সম্ভব হল? তিনি জানিয়েছিলেন, আমাদের যে প্রকল্পগুলি ছিল সেটার সফল রূপায়ণের উপর আমরা জোর দিয়েছি। আমাদের প্রকল্প রূপায়ণের পাশাপাশি গ্রিন বন্ড ইস্যু করেছি আমরা। আমাদের শয়ে শয়ে স্ট্রিট ফুডের ভেন্ডাররাও আমাদের প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন।