আজমীর শরীফে একাদশ শতাব্দীর সুফি সাধক হযরত খাজা গরীব নওয়াজের মাজারে চাদর চড়ালেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। শনিবার আদানি তাঁর স্ত্রী প্রীতি আদানি, ভাই রাজেশ আদানি এবং তাঁর স্ত্রী শিলিনকে নিয়ে আজমীরে পৌঁছন। এদিন তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে স্বাগত জানান, আজমির শরীফ দরগা এবং চিশতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাজী সৈয়দ সলমান চিশতি। পরে সলমান চিশতি আদানিকে গ্লোবাল পিস অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করেন।
আরও পড়ুন: ছেলের বিয়ে উপলক্ষ্যে ১০ হাজার কোটি অনুদান আদানির, টাকা যাচ্ছে কোন কল্যাণকর খাতে?
সলমান চিশতি জানান, গৌতম আদানি সমগ্র দেশের জন্য প্রার্থনা করেছেন। হযরত খাজা গরীব নওয়াজ সর্বজনীন ভালোবাসা, মানবতার সেবা এবং শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন। গৌতম আদানি এবং তাঁর পরিবার এই নীতিগুলি অনুসরণ করেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কল্যাণের জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। হাজী সৈয়দ সলমান চিশতি গৌতম আদানিকে তাঁর নেতৃত্ব, অবদান এবং জনকল্যাণমূলক উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
জানা যায়, আদানি গোলাপ ফুল হাতে নিয়ে দরগায় পৌঁছন এবং পূর্ণ ভক্তির সঙ্গে গরীব নওয়াজের মাজারে চাদর অর্পণ করেন। সেই সময় তাঁর স্ত্রীও শাড়ি দিয়ে মাথা ঢেকে রাখেন এবং চাদর স্পর্শ করেন। আদানি পরিবার একটি বিশেষ খাঁটি নিরামিষ লঙ্গরও প্রস্তুত করেছিল এবং আজমীর শরীফে উপস্থিত হাজার হাজার ভক্তদের মধ্যে তা পরিবেশন করা হয়েছিল। এদিন আজমীরে চাদর চড়ানোর ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন আদানি।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি আদানি পরিবারের বাড়িতে একটি শুভ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছিল। তাঁদের ছেলে জিতের বিয়ে হয়েছিল। এই উপলক্ষে, আদানি পরিবারের নববিবাহিত দম্পতি প্রতি বছর ৫০০ জন প্রতিবন্ধী মেয়ের বিয়ে দেওয়ার এবং তাদের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে গৌতম আদানি হলে বিশ্বের ২৩তম ধনী এবং এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যবসায়ী। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৬৬.১ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিবছর দরগায় চাদর উপহার দিয়ে থাকেন। গত মাসে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু আজমীরের খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির মাজারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষ থেকে একটি চাদর উপহার দিয়েছিলেন। এছাড়াও, আজমীরে আসা পূণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য কেন্দ্র একটি অ্যাপ চালু করেছে। যার নাম হল গরীব নওয়াজ অ্যাপ।