সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ। আর তার জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে গেল হায়দরাবাদে। নাতির হাতে খুন হলেন দাদু। যাকে খুন করা হয়েছে তিনি হলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ভিসি জনার্ধন রাও। তিনি ভেলজান গ্রুপ অফ কোম্পানিজের প্রধান। তাঁর নাতি কীর্তি তেজা ছুরি দিয়ে ৭৩ বার কুপিয়ে তাঁকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের পাঞ্জাগুট্টায়। এই খুনের অভিযোগে কীর্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে।
আরও পড়ুন: চারপাশে ফ্ল্যাট, তার কাছেই…! নিউটাউনে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনে কী বলছেন বাবা-মা?
পুলিশ জানিয়েছে, যে সম্পত্তির জন্য জনার্দন রাওকে তাঁর নাতি কীর্তি তেজা হত্যা করেছেন। জানা যায়, যে জনার্দন রাওকে ৭৩ বার ছুরিকাঘাত করেছেন তেজা। মূলত কোম্পানিতে ডিরেক্টর পদ না দেওয়ায় ক্ষোভ থেকে তাঁকে নাতি হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। কীর্তি তেজা তাঁর মাকেও ১২ বার ছুরিকাঘাত করেছিলেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, জনার্দন রাওকে হত্যা করার সময় বাধা দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তেজা তাঁর মাকেও আঘাত করেন। তখন মা ও দাদুর চিৎকার শুনে নিরাপত্তারক্ষীরা ঘরে ঢুকে পড়ে। দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জনার্দন রাওকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গুরুতর আহত অবস্থায় কীর্তি তেজার মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
জানা গিয়েছে, কীর্তি তেজা সম্প্রতি আমেরিকা থেকে হায়দরাবাদে ফিরে আসেন। তিনি তাঁর দাদু ভিসি জনার্দন রাওকে কোম্পানিতে ডিরেক্টর পদ দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। কীর্তি তেজা তাঁকে কোনও পদ দিতে অস্বীকার করেছিলেন। কারণ তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। তবে তিনি সম্প্রতি তাঁর বড় মেয়ের ছেলে শ্রীকৃষ্ণকে ভেলজান গ্রুপের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করেন। আর দ্বিতীয় মেয়ে সরোজিনী দেবীর ছেলে কীর্তি তেজার কাছে ৪ কোটি টাকার শেয়ার হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সরোজিনী দেবী এবং কীর্তি তেজা জনার্ধন রাওয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সম্পত্তির বণ্টন নিয়ে জনার্ধন রাও এবং কীর্তি তেজার মধ্যে তর্ক হয়। তিনি দাদুর বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণের অভিযোগ এনে একটি ছুরি বের করে বারবার আঘাত করেন। যার ফলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পুলিশ জানিয়েছে, যে জনার্দন রাওকে হত্যার পর কীর্তি তেজা এলুরুতে পালিয়ে যান। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। পরে, কীর্তি তেজাকে এলুরুতে গ্রেফতার করে। জনার্ধন রাওয়ের জন্মস্থান হল এলুরুর কাছে কোভভালি গ্রামে। এই হত্যাকাণ্ড কোভভালি গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে।