সম্প্রতি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, তিনশোরও বেশি নবাগতকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে ইনফোসিস। সংস্থার মাইসুরু ক্যাম্পাসে ওই ফ্রেশার্সদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ হয়েছিল। কিন্তু তারপর তিনবারের চেষ্টাতেও তাঁরা ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টে পাশ না করার জেরে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁদের। পরে ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সেনেট দাবি করে, এর থেকেও বেশি সংখ্যক ফ্রেশারকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে ইনফোসিস। এরই সঙ্গে দাবি করা হয়েছিল, এই সব ট্রেনিদের ক্যাম্পাস ছাড়তে 'ভয়' দেখিয়েছিল আইটি সংস্থাটি। এই সব অভিযোগের মাঝেই কেন্দ্রের তরফ থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে কর্ণাটকের লেবার কমিশনারের কাছ থেকে। এহেন পরিস্থিতিতে অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল আইটি সংস্থা নিজে। (আরও পড়ুন: আমেরিকা থেকে পানামায় ৩০০ অবৈধবাসী, আছেন ভারতীয়ও, সাহায্যের আর্তি অনেকের)
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর দিনই জঙ্গি হামলা পাকিস্তানে, সব মিলিয়ে কয়েক ঘণ্টায় মৃত…
ইনফোসিস দাবি করল যে তারা মাইসুরু ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণার্থীদের ছাঁটাই করার সময় ভয় দেখানোর কৌশল ব্যবহার করেনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইনফোসিসের চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার শাজি ম্যাথু জানিয়েছেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের বিশদ সম্পর্কে কর্ণাটক শ্রম দফতরকে তারা জানাচ্ছে। তিনি আরও স্বীকার করেছেন যে এবারের মূল্যায়ন ব্যর্থতার হার অতীতের তুলনায় 'সামান্য বেশি' ছিল। তবে তিনি এই অভিযোগ মানতে চাননি যে কর্মী ছাঁটাই করতেই এই পরীক্ষা 'ডিজাইন' করা হয়েছিল। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণার্থীদের পাশ করার জন্য তিনটি অ্যাসেসমেন্ট সুযোগ দেওয়া হয় এবং তৃতীয় মূল্যায়নের পরেও যদি তারা পাস করতে না পারে তবে তাদের সংস্থা থেকে বেরিয়ে যেতে হয়। গত দুই দশকেও বেশি সময় ধরে এই নিয়ম চলে আসছে বলে দাবি করেন তিনি। (আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে মাঝআকাশে সংঘর্ষ দুই বিমানের, ফিরল ওয়াশিংটনের স্মৃতি)
আরও পড়ুন: মাথাব্যথার নাম 'মায়ানমার', ক'দিন আগেই বাংলাদেশে পাচার হচ্ছিল অস্ত্র, আর এবার...
এদিকে ইতিমধ্যেই কর্ণাটকের শ্রম বিভাগ ইনফোসিসের মাইসুরু ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছে। পুরো প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া, মূল্যায়নের পদ্ধতি সরকারি কর্তাদের দেখান ইনফোসিস কর্তৃপক্ষ। এর আগে ইনফোসিসের কর্মী ছাঁটাই প্রসঙ্গে ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সেনেট অভিযোগ করেছিল, ফ্রেশার্সদের ভয় দেখাতে বাউন্সার ও নিরাপত্তারক্ষীদেরও মোতায়েন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের কাছে সরকারিভাবে অভিযোগ দায়েরে করা হয় এই নিয়ে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার কর্ণাটকের লেবার কমিশনারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।
এর আগে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মচারীদের ইউনিয়নের তরফে দাবি করা হয়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে অফার লেটার দেওয়া হয়েছিল এই সব ফ্রেশারদের। তবে এর বহু মাস পরে কাজে যোগ দিতে পেরেছিলেন তাঁরা। আর চাকরিতে যোগদানের কয়েকদিনের পরই তাঁদের ছাঁটাই করা হয়। সেইসঙ্গে নিটসের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই কর্মচারীদের ইনফোসিসের মাইসুরু ক্যাম্পাসের মিটিং রুমে ডেকে পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করেছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মচারীদের ইউনিয়নের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেইসময় ভয় দেখানোর কৌশলও ব্যবহার করেছিল ইনফোসিস। কর্মচারীদের ভয় দেখাতে বাউন্সার এবং নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করে রাখা হয়েছিল। কর্মচারীদের মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। এদিকে এই সব বিতর্কের মাঝেই নিজেদের সাম্প্রতিকতম 'ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্ট' এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয় ইনফোসিস।