আবারও মাইসুরু ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৩০-৩৫ শিক্ষানবিশকে ছেঁটে ফেলল বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস। অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।অবিলম্বে ইনফোসিস চত্বর ছেড়ে চলে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁদের বলা হয়েছিল। এরপরই ভেঙে পড়েন শিক্ষানবিশরা।
গত ২৬ মার্চ এই গণ বরখাস্ত করা হয়েছিল। মানি কন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে তারা অফার লেটার পেয়েছিলেন। এরপর তাঁরা প্রায় আড়াই বছর অপেক্ষা করছিলেন।এর জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে নারায়ণ মূর্তি প্রতিষ্ঠিত আইটি জায়ান্টটি। একটি বিবৃতিতে আইটি জায়ান্টটি জানিয়েছে, কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী, সব শিক্ষানবিশকে তিনটি প্রচেষ্টায় অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। এই প্রক্রিয়া গত দুই দশক ধরে চলে আসছে। কোম্পানির গ্রাহকদের যাতে দক্ষ কর্মীরা সাহায্য করতে পারেন, সে জন্যই এমন নিয়ম। এতে কাজের গুণগত মান বাড়ে ও গ্রাহকরাও খুশি হয়।ইনফোসিসের দাবি, অভ্যন্তরীন পরীক্ষার বিষয়টি তারা নিয়োগের সময় উল্লেখ করে চিঠিতে। সেখানে বলাই থাকে, তিনবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে সকলে। তাতে পাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের রিপোর্ট নিয়ে বড় মন্তব্য ইউনুস সরকারের, বলা হল…
অন্যদিকে কাজ হারানো এক শিক্ষানবীশ মানি কন্ট্রোলকে জানিয়েছেন, এটা নিষ্ঠুরতা। এত বড় একটা কোম্পানি। ট্রেনিরা সত্যি বলতেও ভয় পাচ্ছেন। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির মাইসুরু ক্যাম্পাসেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মূল্যায়ন করতে একটি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। ইনফোসিসের দাবি, সেখানে অনুত্তীর্ণ হন ৩০০-র বেশি শিক্ষানবিশ। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের ছাঁটাই করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। এর জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে নারায়ণ মূর্তি প্রতিষ্ঠিত আইটি জায়ান্টটি।সূত্রের খবর, বরখাস্ত হওয়া শিক্ষানবিশেরা দু’বছর অপেক্ষা করার পর ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ইনফোসিসে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন। মাত্র চার মাসের মধ্যেই তাঁদের ছাঁটাই করায় সংস্থার মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: বালোচ হুমকির মুখে পাকিস্তানে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করল চিন, দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাচ্ছে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া গোষ্ঠীগুলি’
তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের সংগঠন এনআইটিইএস এ ব্যাপারে সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর সরকারি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।সেই সময় চাকরি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হন শিক্ষানবিশরা।চিঠিতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।ইনফোসিসের সিইও সলিল পারেখ সম্প্রতি কোম্পানির সংস্কৃতি নিয়ে ওঠা অভিযোগের বিষয় বলেছিলেন, 'আমরা কর্মীদের ন্যায্যভাবে মূল্যায়ন করি এবং এই পদ্ধতি খুব স্পষ্ট।'