কলকাতাগামী বিমানে বোমা আছে বলে 'ভুয়ো' খবর ছড়ানোয় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যিনি আদতে ইন্টেবিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) অফিসার বলে জানা গেল। পুলিশ সূূত্রে খবর, বোমাতঙ্কের জেরে নাগপুর-কলকাতার ইন্ডিগো বিমানটি ছত্তিশগড়ের রাইপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করার পরে অনিমেষ মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আইবি এবং রাজ্য পুলিশের অফিসাররা। সেইসময় জানা যায়, অনিমেষ যে তথ্য দিয়েছেন, তা ভুয়ো। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যিনি কলকাতার লেক গার্ডেন্সের বাসিন্দা বলে জানানো হয়েছে একটি রিপোর্টে।
সূত্রের খবর, অনিমেষের পোস্টিং ছিল নাগপুরে। গত ১৪ নভেম্বর কলকাতাগামী ইন্ডিগোর বিমানে ছিলেন। আচমকা তিনি বিমানকর্মীদের বলতে শুরু করেছিলেন যে বিমানে বোমা আছে। সেই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি রাইপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাইলট। অবতরণের পরে তন্নতন্ন করে বিমান তল্লাশি চালানো হয়েছিল। কিন্তু কিছু মেলেনি। পরবর্তীতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
‘সোর্স’-র থেকে খবর পেয়েছিলেন অনিমেষ, দাবি আইনজীবীর
যদিও অনিমেষের আইনজীবী দাবি করেছেন, আইবি অফিসার হওয়ায় অনিমেষের অনেক 'সোর্স' আছে। ১৪ নভেম্বর বিমানে ওঠার পরে তেমনই এক 'সোর্স' খবর দেয় যে সেখানে বোমা আছে। তাঁর কথায়, 'কয়েকদিন আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওঁর স্ত্রী। অনিমেষ যে আইবি অফিসার, সেটার স্বপক্ষে প্রমাণ পেশ করেন।'
আরও পড়ুন: Air India: কলকাতা-ঢাকা সরাসরি বিমান এখনই নয়, আগের পরিকল্পনা স্থগিত রাখল এয়ার ইন্ডিয়া
অনিমেষ নির্দোষ, দাবি আইনজীবীর
তিনি আরও দাবি করেন, অনিমেষের বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে, তাতে নির্দিষ্ট আদালতের প্রয়োজন আছে। যা ছত্তিশগড়ে নেই। যেহেতু ছত্তিশগড়ে সেরকম কোনও আদালত নেই, তাই এরকম মামলা শোনার অধিকার আছে হাইকোর্টের। তাই সোমবার তাঁরা নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন, যাতে মামলাটি হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হয়। সেইসঙ্গে অনিমেষের আইনজীবী দাবি করেছেন যে তাঁর মক্কেল নির্দোষ এবং স্রেফ নিজের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
অনিমেষকে নিয়ে পরতে-পরতে রহস্য
যে অনিমেষের বাবা কলকাতার বড় ব্যবসায়ী বলে দাবি করা হয়েছে। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অনিমেষ আদতে কলকাতার লেক গার্ডেন্সের ছেলে। তাঁর বাবার বড়সড় ব্যবসা আছে। পাইকারি বাজারে মাছের জোগান দেন বলে ওই রিপোর্টে দাবি জানানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সূত্রের তরফে দাবি করা হয়েছে যে মাঝেমধ্যেই ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যেতেন অনিমেষ। এমনকী সেজন্য থানায় দ্বারস্থ হতেন পরিবারের সদস্যরা। দিনকয়েক পরে আবার নিজেই ফিরে আসতেন।